কয়েকদিন আগেই প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের ৯.২ শতাংশ মালিকানা কিনে নিয়েছিলেন আমেরিকান ধনকুবের ইলন মাস্ক। এ বার মাস্ক জানালেন, গোটা টুইটারই কিনে ফেলতে চান তিনি। দিলেন বিপুল অঙ্কের প্রস্তাবও।
টুইটারের সঙ্গে মাস্কের সম্পর্ক বরাবরই অম্ল-মধুর। কিন্তু হঠাৎই সকলকে চমকে দিয়ে গত সপ্তাহে টুইটারের একটি বড় অংশের মালিকানা কিনে নেন মাস্ক। সবচেয়ে বড় শেয়ার হোল্ডার হওয়ার পরই টুইট করে উস্কে দিয়েছিলেন টুইটারের নাম বদলের জল্পনা। শেষমেশ টুইটারের সিইও পরাগ অগ্রবালকে লিখিত বিবৃতি জারি করে সামাল দিতে হয় পরিস্থিতি। মাস্কও জানান, টুইটারের বোর্ড অব ডিরেক্টর্সে থাকবেন না তিনি। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নয়া ঘোষণা মাস্কের। ইলন জানান, টুইটার কিনতে শেয়ার পিছু ৫৪.২০ ডলার দিতেও প্রস্তুত তিনি, ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৪১২৫ টাকা। এই হিসাবে গোটা সংস্থাটির মোট বাজারদর দাঁড়ায় ৪১ বিলিয়ন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩ লক্ষ ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকারও বেশি।
মাস্ক জানান, তাঁর প্রস্তাব গৃহীত না হলে তিনি নিজের অংশীদারিত্ব আর রাখবেন কি না তা-ও পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবেন। মাস্কের দাবি তিনি টুইটারের অংশীদার হওয়ার সময়ে ভেবেছিলেন টুইটার গোটা বিশ্ব জুড়েই বাক স্বাধীনতার মূল মাধ্যম হয়ে উঠবে। কিন্তু বিনিয়োগ করার পরই নাকি তিনি উপলব্ধি করছেন যে, বর্তমান অবস্থায় তা কখনই সম্ভব নয় টুইটারের পক্ষে। তাই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থা হিসেবে এর বদল ঘটানোই তাঁর লক্ষ্য। কয়েকদিন আগেই মাস্কের বোর্ডে না বসার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন টুইটার সিইও পরাগ অগ্রবাল। পরাগ লেখেন, মাস্কের এই সিদ্ধান্ত ‘ভালর জন্যই’ নেওয়া। পাশাপাশি টুইটারের কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন যে আগামী দিনে ‘মনোসংযোগ নষ্ট’ হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তার পরই মাস্কের এই কাণ্ড উস্কে দিচ্ছে নানা রকম জল্পনা।