পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ধর্ষণকাণ্ডকে ঘিরে তোলপাড় হয়েছে গোটা রাজ্য। জানা গেছে, সেখানে বিশেষভাবে সক্ষম এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ মন্ডল। এখন জানা গিয়েছে, এই গোটা বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হয়েছে নির্যাতিতার পরিবারকে। শুধু তাই নয়, রাতেই সালিশি সভা ডাকা হয়। এরপর আরও একটি মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে অভিযোগ লেখাতে গেলে পুলিশ ‘ধর্ষণের’ বদলে ‘পাশবিক অত্যাচার’ লিখতে বাধ্য করেছে।
ইতিমধ্যেই, এই বিষয়টিকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর পিংলা থানার কালুখাঁড়া গ্রামে। জানা যায়, বিশেষভাবে সক্ষম ওই তরুণীকে পুকুর পাড় থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, সেইদিন রাতেই সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবারকে। সেখানে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হয়, গোটা বিষয়টি মিটিয়ে নেবার জন্য। এরপর মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নির্যাতিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তারপর তারা ইমেইল মারফত অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু সেখানেও বাধা। জানা যায়, অভিযোগকারীকে থানায় টানা তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বসিয়ে রাখা হয়। কেন নির্যাতিতাকে থানায় কতক্ষণ বসে থাকতে হল? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপির দাবি, ‘ধর্ষণ’ শব্দটা সরিয়ে দিয়ে ‘পাশবিক অত্যাচার’ না লেখা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এদিকে, এই ঘটনাকে ঘিরে পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি বলেছেন, ‘পুলিশ খবর পেয়েছিল, এক প্রতিবন্ধী মহিলাকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। প্রথমদিকে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি নির্যাতিতার পরিবার। বিজেপি, ওই মহিলাকে তাদের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর তারা জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।’ ওদিকে বিজেপি নেত্রী পারিজান সেনগুপ্ত জানিয়েছেন যে, ‘অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবার জানাতে গিয়েছিল। কিন্তু প্রথমে সেটি নেওয়া হয়নি। প্রথম দিকে পুলিশের আধিকারিকেরা শুধু বয়ান নেয়। তার অনেক পরে অভিযোগ নেওয়া হয়।’
2022-04-14