দিদি দেখুন: গর্তও বলতে পারেন, ছোটখাটো পুকুরও বলা যায়, পোশাকি নাম অবশ্য রাজ্যসড়ক

প্রত্যন্ত গ্রামের পথ নয়, এ রাজ্য সড়ক। চলে গেছে সেই বহরমপুর থেকে হরিহরপাড়া। দক্ষিণবঙ্গে এ বার বৃষ্টির ঘাটতি। কে বুঝবে, এ রাস্তায় একবার গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়লে। পিচের চাদর উঠে গেছে কবেই। ছোট-বড় গর্তে ভর্তি গোটা রাস্তা। সামান্য বৃষ্টির জলেই সেখানে থইথই।

বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রায় তিন বছর ধরে বহরমপুর-হরিহরপাড়া ২০ কিলোমিটার রাজ্যসড়কের বেহাল অবস্থা। খানা খন্দে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে নিত্য। বছর খানেক আগে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে তা হয়ে উঠেছে একেবারেই চলাচলের অযোগ্য। বিশেষ করে হরিহরপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকার একেবারে অবর্ণনীয় অবস্থা। দোকান–বাজার-সিনেমা হল, সবমিলিয়ে ঘিঞ্জি এলাকা। লাগোয়া রাস্তা দিয়ে চলাচল করে যানবাহন। রাস্তায় নেমে পথ হাঁটতে যেমন নাকাল মানুষ, তেমনই গাড়ি চালাতে গিয়েও ভোগান্তির একশেষ চালকরা।

স্থানীয় বাসিন্দা নাজমুল হুদা বলেন, “রাস্তার গর্ত বৃষ্টির জলে ভরাট হয়ে জলাজমিতে পরিণত। সাইকেল, মোটরসাইকেল বা অন্যান্য যানবাহন নিয়ে যাওয়ার সময় চালকরা বুঝতে পারছেন না কোথায় কতটা গর্ত। এরফলেই প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।” আরেক বাসিন্দা ফারুক আহমেদ বলেন, “রাস্তা সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে ভালো কথা, কিন্তু রাস্তায় যে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত যা জলাভুমির চেহারা নিয়েছে সেগুলি জরুরি ভিত্তিতে সারাইয়ের প্রয়োজন। না হলে তো প্রাণ হাতে করে পথ চলতে হচ্ছে।”

অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, রাস্তা সংস্কার ও সম্প্রসারণের জন্য যদি একবছর সময় লাগে তবে কি সাধারণ মানুষ বছরভর এই দুর্ভোগ পোহাবেন? পূর্ত দফতরের তরফে আপৎকালীন ভাবে রাস্তা সারানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা রক্ষা করা হয়নি বলে অভিযোগ। তাই এই রাজ্য সড়ক ধরে গন্তব্যে পৌঁছোনোর ভাবনাতেই কাহিল হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। দিদির কানে কোনওভাবে কি তোলা যাবে তাঁদের এই চরম অসুবিধার কথা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.