ভারতে কোভিডের এক্সই ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশ নিয়ে নানাবিধ খবর আসতে শুরু করে কয়েকদিন আগেই। তার জেরে শুরু হয় বহু বিভ্রান্তি। প্রশ্ন ওঠে যে আদৌ এই ভ্যারিয়েন্ট দেশে পা রেখেছে কি না! এদিকে, জানা গিয়েছে, কোভিডের এক্সই ভ্যারিয়েন্ট ঘিরে যে ব্যক্তি সন্দেহের নজরে ছিলেন, তিনি আপাতত সম্পূর্ণ সুস্থ। গুজরাত ও মহারাষ্ট্র সরকার এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছে। এরই মাঝে এই ভ্যারিয়েন্টের ভয়াবহতা নিয়ে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন এর প্রধান এনকে অরোরা এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন।
ভ্যারিয়েন্ট কতটা ভয়াবহ?জনপ্রিয় খবর
এনকে অরোরা বলছেন, কোভিডের এক্স সিরিজ একাধিক নতুন ভ্যারিয়েন্টকে জন্ম দিচ্ছে। তার উদাহরণ স্বরূপ তিনি তুলে ধরেন এক্সই ভ্যারিয়েন্টের কথা। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভ্যারিয়েন্ট আসতে থাকবে। সেটা নিয়ে আতঙ্কে থাকলে হবে না। কারণ এগুলি কিছুতেই বড়সড় রোগের জন্ম দিচ্ছে না। আর এই মুহূর্তে ভারতের তথ্য সমূহ দেখে মনে হচ্ছে, ভারতে এই ভ্যারিয়েন্ট খুব একটা বেশি ছড়িয়ে পড়ছে না।’
পরামর্শ
এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক অরোরা বলেন, এই ধরনেক ভ্যারিয়েন্টরা আসবে যাবে। তা নিয়ে আলাদা করে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে একই সঙ্গে ডক্টর অরোরা বলছেন, এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীদের বা তাঁদের সঙ্গে থাকা আশপাশের মানুষের সেভাবে বড়সড় শারীরিক জটিলতা দেখা যাচ্ছে না।
ভারতে কি রয়েছে এক্সই?
ভারতে কোভিডের এক্সই ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে কি না, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। সেই জায়গা থেকে ডক্টর অরোরা বলছেন, ‘বর্তমানে ভারত থেকে এক্সই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে যা বলা হচ্ছে, তা শুধুই প্রথম লেয়ারের পরীক্ষা। ‘ তিনি বলছেন, যেহেতেু প্রথম স্তরের পরীক্ষা তাই এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা যাচ্ছে। তিনি বলছেন, ‘একইসঙ্গে যা পাওয়া গিয়েছে, তা হয় এক্সএম বা এক্সজে, তবে এক্সই নয়।’ তাঁর মতে, নতুন ভ্যারিয়েন্ট যখন আসছে, তখন একটি মাত্র টেস্ট থেকেই তা বলে দেওয়া খুবই কঠিন। তাঁর মতে,’ভাইরাস থেকে সিকোয়েন্সকে আলাদা যতক্ষণ না করা হচ্ছে, এবিষয়ে মন্তব্য করা যাবে না। এটা আলাদা কি না , তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
আতঙ্কের কারণ নেই!
ডক্টর অরোরা বলছেন, গুজরাত বা মহারাষ্ট্র, যে রাজ্যতেই এই ভ্যারিয়েন্টের বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে, সেখানেই দেখা গিয়েছে, রোগীর সংসর্গে থাকা কারোর সেভাবে ভয়াবহ শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়নি। তবে বিষয়টিতে যে আইএনএসএসিওজির কড়া নর রয়েছে তা জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রতিষ্ঠান এখনও উদ্বেগজনক কোনও চিহ্ন উদ্ধার করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক অরোরা।