ভোট পরবর্তী হিংসায় ১২১ তৃণমূল নেতাকে নোটিস সিবিআইয়ের, তালিকায় একাধিক হেভিওয়েট

গরু পাচার, কয়লা পাচার, এসএসসি দুর্নীতি-সহ একাধিক মামলায় সিবিআই কাঁটা বিঁধে আছে তৃণমূলের গলায়। এবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে তৎপর হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত বছরের আগস্টে কেশপুরে খুন হন বিজেপি নেতা সুশীল ধাড়া। এবার সেই মামলায় ১২১ তৃণমূল নেতাকে নোটিস ধরাল সিবিআই। তালিকায় রয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট নেতাও।

কেশপুরের কইগেড়িয়া বাজার এলাকায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির নেতা সুশীল ধাড়াকে। দু’ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মারা যান তিনি। সুশীল ধাড়ার মেয়ে সঙ্গীতা ধাড়া চৌধুরী অভিযোগ করেন তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছে। ১২১ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন কেশপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি থেকে শুরু করে ব্লকের ১৪টি অঞ্চলের সভাপতি ও কেশপুরের একাধিক দাপুটে নেতা। ইতিমধ্যেই প্রায় ৯ জনকে ডেকেছে তারা।

সমন পেয়েছেন কেশপুরের তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিকও। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলকে হেনস্থা করতেই বুথ স্তর অবধি সিবিআই নেমেছে। এখন তো বিজেপির দুটি সংস্থা। এক রাজ্যপাল অন্যটি সিবিআই। জুজু দেখিয়ে কেশপুরের মানুষকে ভয় দেখানো যাবে না’। পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সকলেই জানে কী জঘন্য অপরাধ হয়েছে এখানে। এখনও ঘটে চলেছে। প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে। নাবালিকা ধর্ষণ হচ্ছে। নির্যাতিতাদের খুন করে দিচ্ছে। জলজ্যান্ত মানুষকে প্রকাশ্যে মারছে। আমরা চাই সিবিআই দোষীদের সাজা দিয়ে মানুষের মনোবল ফিরিয়ে দিক।’

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই কার্যতই রাজ্যে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে রাজনৈতিক হিংসার আগুন। বিজেপি অভিযোগ তোলে তাদের একাধিক নেতাকে খুন করেছে তৃণমূল। যথেচ্ছভাবে চলেছে হত্যালীলা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই দায়ের করা হয় ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.