৭০ বছর আগে স্বাক্ষরিত হয় ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি, রইল কয়েকটি তথ্য

সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন- কথাটা আমরা প্রায় প্রত্যেকদিনই শুনে থাকি সংবাদ শিরোনামে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া সেই চুক্তি ভেঙে প্রায়ই গুলি-মর্টার ছোঁড়ে পাক রেঞ্জার্স। যার জেরে শহিদ হয়ে হয় ভারতীয় জওয়ানদের। কিন্তু কি সেই চুক্তি? জেনে নিন।

১৯৪৯-এর ২৭ জুলাই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশই সংঘর্ষের পথে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই বছরে ১৮ থেকে ২৭ জুলাই ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়। ভারতের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন লেফট্যানেন্ট জেনারেল এসএম শ্রীনাগেশ। মেজর জেনারেল কেএস থিমায়া, ব্রিগেডিয়ার মানেকশ। পাকিস্তানের তরফ থেকে ছিলেন মেজর জেনারেল ডব্লুজে কথ্রন, মেজর জেনারেল নাজির আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার এমশের খান।

কি ছিল ওই চুক্তি?

১. এই চুক্তিতে একটি সিজফায়ার লাইন তৈরি করা হয়।

২. এই সিজফায়ার লাইন তৈরি হয় দক্ষিণে মানাওয়ার থেকে উত্তরে কেরান পর্যন্ত এবং কেরান ইস্ট থেকে হিমবাহ এলাকা পর্যন্ত।

৩. চুক্তিতে বলা হয়, একটি এক ইঞ্চির ম্যাপে আাঁকা হবে ওই সিজফায়ার লাইন। এরপর ওই এলাকার কমান্ডারদের সমঝোতার মাধ্যমে ন্যাশনাল মিলিটারি অবজারভারের সাহায্য নিয়ে সেটি ভেরিভাই করা হবে। সেইসঙ্গে নো ম্যানস ল্যান্ডও বাদ দিতে হবে। কমান্ডাররা সিদ্ধান্তে আসতে না পারলে সেটি দেখবে কমিশনের মিলিটারি অ্যাডভাইজার। সেটাই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

৪. বুরজিল নালা এলাকায় কোনও সেনা মোতায়েন থাকবে না। দক্ষিণে মিনিমার্গ থেকে সিজফায়ার লাইন পর্যন্ত। যদিও চুক্তি সত্ত্বেও পাকিস্তান ওই অঞ্চলের মধ্যে সেনা রাখে।

৫. সিজফায়ার লাইন থেকে অন্তত ৫০০ ইয়ার্ড দূরে থাকতে হবে সেনাবাহিনীকে। ওই লাইনের মধ্যে থাকা অংশ সংশ্লিষ্ট দেশের অধিকারের মধ্যে হলেও, সেনা রাখতে হবে ৫০০ ইয়ার্ড দূরে।

৬. কোনও দেশের সেনাবাহিনী নতুন বাংকার তৈরির সময় ওই এলাকায় কোনও তার বা মাইন ব্যবহার করতে পারবে না।

৭. ওই লাইনের কোনও আরেই অতিরিক্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.