JNU-তে ভেজ ননভেজ নিয়ে বিশাল গন্ডগোল। স্বাভবিকভাবেই সেই ঝামেলায় মাল-গাঁজা-হেরোইন খেয়ে ও অত্যধিক কুঅভ্যাস করে শরীরকে নষ্ট করে দেওয়া কমিউনিস্টরাই বেশিই আহত হয়েছে। যদিও তাদের কান্নাকাটিতে খুব একটা কেউ দুঃখিত নয়, তবুও আমার প্রশ্ন, কেন এসব হলো?
দেখুন, আমি নন ভেজ পার্সন। বার তিথি মানি, এ আমার খুব বড় ভক্তও বলবে না। এই কালকেই চিকেনের দুই তিনটে পদ খেয়েছি। তার আগে চিকেন রান্না করে খেয়েছি। ছবিও দিয়েছি সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাস্তব জীবন তো দূর, সোশ্যাল মিডিয়াতেও কেউ আমায় খিস্তিখাস্তা করেনি। অথচ আমার ফ্রেন্ড লিস্টের সংখ্যাগুরুই হিন্দুত্ববাদী এবং নিরামিষাশী।
তাহলে এদের কেন মারল কেন?
এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখলাম আলাদাই কেস। আমাদের পরিবার থেকে একটি শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, কেউ পরবের দিন নিরামিষ খেতে চাইলে, সেটাকে প্রায়োরিটি দেওয়া উচিত। মানে ধরুন আগে নিরামিষ রান্না হবে, তারপর কেউ আমিষ খেতে চাইলে বাইরে থেকে কিনে বাইরে খাক। আমার বাড়িতে যেমন মাংস হয় না, আমি বাড়িতে খাই না। বাইরে খাই। বাড়িতে জানে। কিন্তু, মাকুরা কবেই বা শিক্ষার ধার ধেরেছে? বর্বর এক ধর্মের সেবাদাসী ওরা, ওদের থেকেই শিখেছে নিজের ইচ্ছেকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার পদ্ধতি। হোস্টেলের মেসে নাকি নিরামিষ খাওয়ার বন্ধ করে আমিষ করতে হবে, তাও ওই পরবের দিনেই! সিরিয়াসলি!!
এবার যা হয়, গণান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল বাকিরা। প্রথমে শোনা যায়, হিংসাত্মক এটিচিউড আসে বামেদের তরফ থেকে। তারপর যা হয়, তা ক্লাসিক ‘ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়’ -এর উদাহরণ।
অর্নব কুমার দাস