ইউক্রেনের (Ukraine) বুচা শহরের গণহত্যার দৃশ্যে শিউরে উঠেছে বিশ্ব। সেখানে যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল মৃতদেহ। এর মধ্যেই ফের সামনে এল আরেক গণকবরের দৃশ্য। এবার কিয়েভের কাছাকাছি অবস্থিত বুজোভা গ্রামে। সেখান থেকে রুশ (Russia) বাহিনী সরে যাওয়ার পরে দেখা গিয়েছে কীভাবে সেখানে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল তারা। এমনটাই দাবি ইউক্রেন প্রশাসনের।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলার পরে কেটে গিয়েছে দেড় মাসেরও বেশি সময়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজধানী কিয়েভ দখল করে উঠতে পারেনি পুতিন বাহিনী। কিন্তু তবুও লাগাতার ভয়ংকর হামলা চালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে তাদের। তারই ফলশ্রুতি সাধারণ মানুষের এই চরম দুর্দশার ছবি।
ইউক্রেন প্রশাসনের তরফে বুজোভা-সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের প্রধান তারাস ডিডিচ দাবি করেছেন, ওই গ্রামে একটি পেট্রল স্টেশনের কাছেই একটি খাদের ভিতরে অসংখ্য মানুষের মৃতদেহ ফেলে রেখে গিয়েছে রুশ সেনা। তবে কতজনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে, সেই সংখ্যা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি ডিডিচ। তাঁর কথায়, ”আমরা সাধারণ জীবনের দিকে ফিরছি। কিন্তু নতুন করে সেখানে ফিরে আমরা খুঁজে পাচ্ছি অসংখ্য সাধারণ মানুষের মৃতদেহ।” তবে এই দাবির সত্যতা সম্পর্কে এখনই নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে অসংখ্য প্রাণহানি ও সম্পত্তি ধ্বংসের ঘটনায় সারা বিশ্বের নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছে পুতিনকে। যদিও রাশিয়া সব অভিযোগ উড়িয়ে জানিয়েছে, রুশ সেনা বেছে বেছে সাধারণ জনতার উপরেই আক্রমণ করছে এই অভিযোগ একেবারে মিথ্যা।
এদিকে এখনও পর্যন্ত কিয়েভ দখল করতে পারেনি বলে চাপ বাড়ছে রুশ সেনার উপরে। পুতিনের লক্ষ্য ৯ মে’র মধ্যে ইউক্রেন দখল করা। সেই হিসেবে আর ১ মাস সময় হাতে রয়েছে। কিন্তু এতদিনেও কিয়েভ দখল করে ওঠা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় যুদ্ধের ঝাঁজ আরও বাড়াতে চাইছে রাশিয়া। পাশাপাশি নতুন সেনা কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে আলেকজান্ডার ভরনিকভকে। সংবাদ সংস্থা সিএনএন সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।