মুখে প্লাস্টিক জড়ানো অবস্থায় ল্যাব থেকে উদ্ধার দেহ, সুইসাইড নোটে কার নাম? গবেষকের মৃত্যুতে তপ্ত আইসার

হরিণঘাটার আইসার কলকাতা ক্যাম্পাসে ২৭ বছরের গবেষক শুভদীপ রায়ের মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অফ সায়ান্টিফিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এর কলকাতা ক্যাম্পাসের গবেষক শুভদীপের দেহ সোমবার ল্যাব থেকে উদ্ধার হয়। পাশেই ছিল একটি নোট। সেটিকেই শুভদীপের সুইসাইড নোট হিসাবে মনে করা হচ্ছে।

সুইসাইড লেখা রয়েছে তাঁর রিসার্চ গাইড অধ্যাপকের নাম। উল্লেখ্য, শুভদীপের ঘনিষ্ঠ মহলের অভিযোগ, তিনি যে অদ্যাপকের তত্ত্বাবধানে গবেষণা করতেন তিনি শুভদীপকে সাহায্য করছিলেন না গবেষণায়। ফলে মানসিক চাপে পড়ে আত্মহননের রাস্তা শুভদীপ বেছে নিয়েছে বলে দাবি বন্ধুবান্ধবদের। প্রসঙ্গত, শুভদীপের বন্ধুবান্ধব ও জুনিয়াররা বলছেন, রবিবার অনেক রাত পর্যন্ত ল্যাবে ছিলেন গবেষক শুভদীপ রায়। পরদিন সকাল ১১ টা পর্যন্ত সময়েও ল্যাব ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বহু ডাকাডাকির পরও ল্যাব না খোলায়, ধাক্কাধাক্কি করে ল্যাবে প্রবেশ করে দেখা যায় পড়ে রয়েছে নিথর শুভদীপের দেহ। ততক্ষণে মুখে প্লাস্টিক জড়ানো অবস্থায় শুভদীপকে উদ্ধার করা হয়।

মনে করা হচ্ছে, ল্যাবে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস তৈরি করে তা প্লাস্টিকে ভরে শুভদীপ আত্নহননের পথ বেছে নেন। এরপর হরিণঘাটা হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলে, শুভদীপকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয় মঙ্গলবার। উল্লেখ্য, শুভদীপের মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠছে ক্যাম্পাস জুড়ে। প্রতিবাদের ঝড়, বিক্ষোভে তপ্ত আইসার। বুধবার অ্যাডমিন কম্প্লেক্স, রিসার্ট কমপ্লেক্স বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বন্ধ করা হয় লেকচার হল। মোমবাতি ও টর্চ নিয়ে মিছিল করেন পড়ুয়ারা।

উল্লোখ্য, ২০১৪ সাল থেকে পদার্থবিদ্যায় ইন্টিগ্রেটেড পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হন শুভদীপ। এরপর ২০১৫ সালে এক অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে শুরু করেন গবেষণা। তবে ওই অধ্যাপকের তরফে কোনও সাহায্য শুভদীপ পাননি বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারেরও। বহু পেপার শুভদীপ নিজেই লিখতেন। ইতিমধ্যেই শুভদীপের মা ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.