বুধবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে একেবারে ঝড় বইয়ে দেন প্যাট কামিন্স। ১৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। আর ১৫ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর এই ইনিংসে ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন অজি তারকা। সেই সঙ্গে তিনি স্পর্শ করেছেন বিরাট কোহলিকে।
২০২০ আইপিএলে বিরাট কোহলি শেষ বার ছ’টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। তবে কামিন্স এ বার কোহলির চেয়ে ৫৮০ বল কম খেলে ছটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। একজন বোলার হিসেবে কামিন্স যে নজির গড়েছেন, তা নিঃসন্দেহে অনন্য।
১, ৬, ৪, ০, ০, ৬, ৪, ১, ৬, ৪, ৬, ৬, ২, ৪, ৬, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২২-এর ম্যাচে প্যাট কামিন্সের খেলা এই ১৫টি বলই বদলে দেয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের ভাগ্য। না হলে যে ভাবে পরপর উইকেট হারাচ্ছিল কেকেআর, তাতে মুম্বইয়ের ঝুলিয়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জিং টার্গেটে পৌঁছনো খুব সহজ হতো না কলকাতার পক্ষে। বিশেষ করে আন্দ্রে রাসেল আউট হওয়ার পরে কলকাতার কাজ আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
সেই কঠিন কাজটাই যে এমন অবলীলায় করে দেখাবেন কামিন্স, তা আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব ছিল না মোটেও। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মাত্র ১৪ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন প্যাট কামিন্স। সেই সঙ্গে তিনি আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম (সব থেকে কম বলে) অর্ধশতরান করার যুগ্ম রেকর্ড গড়েন। তাঁর আগে এমন কৃতিত্ব দেখিয়েছেন কেবল লোকেশ রাহুল। ২০১৮ আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১৪ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রাহুল।
লোকেশ রাহুলের সর্বকালীন রেকর্ড ছোঁয়া ছাড়াও কামিন্স সুরেশ রায়নায় দুর্দান্ত একটি নজির ছিনিয়ে নেন। আইপিএলে ৫০-এর বেশি রান করা এক ইনিংসের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি স্ট্রাইক-রেট এখন কামিন্সেরই। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কামিন্সের স্ট্রাইক-রেট ছিল ৩৭৭.৩৩। ২০১৪ সালে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৩৪৮.০০ স্ট্রাইক-রেটে রান তুলেছিলেন রায়না।