পড়ুয়াদের মার্কশিট আটকাতে পারবে না কোনও বেসরকারি স্কুল। সকলে পড়ুয়াকে পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করতে হবে। স্কুল ফি সংক্রান্ত মামলায় এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
বুধবার ১৪৫ টি বেসরকারি স্কুলকে নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনও পড়ুয়ার মার্কশিট বা রিপোর্ট কার্ড আটকে রাখা যাবে না। তাঁদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করে দিতে হবে। স্কুল থেকে পড়ুয়াদের যে সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য, তাও প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
সেইসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কোন পড়ুয়া কত টাকা দিয়েছে, তার বিস্তারিত হিসাব হাইকোর্টের নিযুক্ত কর্তাদের দিতে হবে। কোন পড়ুয়ার ফি বাবদ কত টাকা বাকি আছে, সেই সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখবেন ওই কর্তা। তিনিই নির্ধারণ করবেন যে কোন পড়ুয়ার কত টাকা বাকি আছে।
স্কুল ফি সংক্রান্ত
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন অনলাইনে ক্লাস চললেও বিভিন্নরকমের ফি নিচ্ছে বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ। তা নিয়ে ২০২০ সালে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে টিউশন ফি’তে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছিল, করোনা অতমারী পরিস্থিতিতে কোনও রকম ল্যাবরেটরি, ক্রীড়া সংক্রান্ত, পিকনিক সংক্রান্ত ফি নেওয়া যাবে না। স্কুলগুলো মোট পাঁচ শতাংশের বেশি লাভ রাখতে পারবে না অতিমারী পরিস্থিতিতে। পরবর্তীতে আরও একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। গত ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ১ মার্চ থেকে বেসরকারি স্কুলগুলিকে ফের পুরোনো হারে পুরো বেতন দিতে হবে অভিভাবকদের। করোনাকালে বকেয়া স্কুল ফি’র ৫০ শতাংশ দিতে হবে। তবে ফি না দেওয়া হলেও ২৫ মার্চ পর্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না স্কুল কর্তৃপক্ষ।