মসজিদে লাউডস্পিকার বন্ধের দাবিতে বহুদিন ধরেই সোচ্চার সমাজের একাংশ। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন কর্ণাটকের মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা। তাঁর কথায়, ‘নমাজ নিয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু লাউডস্পিকার ব্যবহারের ঘোর বিরোধী। এটা বন্ধ করতে হবে’।
প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগেই মহারাষ্ট্রের মসজিদে লাউডস্পিকার বন্ধের দাবিতে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন রাজ ঠাকরে। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘ইসলাম ধর্ম যখন প্রতিষ্ঠা হয় তখন তো মাইক ছিল না। তাহলে মুসলিমরা কেন মাইক বাজান’? পাশাপাশি হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, ‘সরকার যদি মসজিদে মাইক ব্যবহার বন্ধ না করে, তাহলে এমএনএস কর্মীরা সব মসজিদের সামনে মাইক লাগিয়ে হনুমান চালিসা বাজাবে’।
এবার সেই সুরই শোনা গেল কর্ণাটকের মন্ত্রীর গলায়। কে এস ঈশ্বরাপ্পা বলেছেন, ‘ইসলাম ধর্মগুরুদের বুঝিয়ে, নিজেদের পক্ষে এনে মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার বন্ধ করাই যায়’ নমাজ পাঠের সময় লাউডস্পিকার ব্যবহারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সরব একাংশ। অভিযোগ, এটা সকাল-বিকেলে পড়ুয়া এবং রোগীদের বিরক্ত করে’।
এখানেই না থেমে তিনি যোগ করেন, ‘নমাজ পাঠ নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। এর বিরোধিতাও করছি না। কিন্তু ধর্মীয় প্রার্থনার জন্য মসজিদের মতো মন্দির-গির্জাতেও লাউডস্পিকার ব্যবহৃত হলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করবে’। মুসলিম ধর্মগুরুদের কাছে মন্ত্রীর আর্জি, ‘এ বিষয়টা নিয়ে আপনারা ভাবনাচিন্তা করলে ভালো হয়। মসজিদের ভিতরে লাউডস্পিকার ব্যবহার করুন। তাহলে আর কেউ বিরক্ত হবে না’।