তিহাড় জেলে বন্দি উমর খালিদের বাঙালি প্রেয়সী বনজ্যোৎস্নার ঘটনায় সচেতন করলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
মুম্বাইয়ের বাসিন্দা রীতার টুইট মঙ্গলবার রিটুইট করেছেন তথাগত রায়। তাতে লেখা, “এতো লাভ জিহাদ মনে হচ্ছে… বাবা মায়ের দুর্ভাগ্য, পড়তে পাঠিয়েছিলেন জেএনইউ-তে। তো প্রেম করার জন্য জিহাদী মিললো, যদিও এই জিহাদীর জেলের বাইরে আসার সম্ভাবনা কম, তাহলে মেয়েটার সুটকেসে বন্ধ হয়ে মৃত অবস্থায় নর্দমায় পড়ে থাকার সম্ভাবনাও কম।”
তথাগতবাবু টুইটারে লিখেছেন, “আবার বলছি। এইজন্যেই ছোট্ট মেয়েদের বাবা-মাদের বলি, তিন বছর বয়স থেকে ওদের ঠিকটা শেখান। না হলে এই বনজ্যোৎস্নার বাবা-মায়ের মতই অবস্থা হবে।“
এই সঙ্গে প্রকাশিত একটি লেখা যু্ক্ত করেছেন তথাগতবাবু। তাতে লেখা, “নাম বনজ্যোৎস্না লাহিড়ি। কিন্তু এখন জীবনেই যেন জ্যোৎস্না নেই তিহাড় জেলে বন্দি উমর খালিদের বাঙালি প্রেয়সীর। তিহাড়ে কী খেতে দেয় কে জানে! আমিষ তো মোটেই নয়। কিন্তু উমর যে নিরামিষ খেতেই পারেন না। সব সময় মাছ, মাংস চাই-ই চাই। সে কথা ভেবেই গলা দিয়ে ভালো করে খাবার নামতেই চায় না বনজ্যোৎস্নার।
নিজের মুখেই বনজ্যোৎস্না সে কথা জানিয়েছেন ‘মিড ডে’ পত্রিকার কাছে। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, এখন কথা বলতে হয় জেল কর্তৃপক্ষের মেপে দেওয়া মিনিট পাঁচেকে। কারার আড়ালে কেমন করে উমরের দিন কাটে, সে সব জানলেও কথাবার্তায় একটুও ভেঙে পড়ার ছায়া নেই বনজ্যোৎস্নার। বরং তিনি বলছেন, ‘‘শক্ত না থাকলে আমি বাঁচতেই পারব না।’’
দেখতে দেখতে অনেকগুলো দিন কেটে গিয়েছে। দিল্লি দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে সেই ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উমরকে। বনজ্যোৎস্নার ‘মনের মানুষ’কে। সেই থেকে উমরের ঠিকানা দিল্লির তিহাড় জেল। বার বার জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে। রায়দান স্থগিত থেকেছে গত ফেব্রুয়ারিতে। আর সম্প্রতি জানা গিয়েছে তিহাড়-বাসের মেয়াদ এখনই শেষ হচ্ছে না উমরের।”
অশোক সেনগুপ্ত