সামান্য কিছু টাকা ও মোবাইল ফোনের জন্য নিজের নাবালিকা বোনকে দিদি তুলে দিল প্রেমিকের হাতে। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের মাটিয়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, গত ২৪ শে মার্চ থেকে ১১ বছরের শিশুকন্যা বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল। এরপর পুলিশ ২৫ শে মার্চ ওই এলাকার একটি পার্কের পাশে অচেতন অবস্থায় শিশুকন্যাটিকে উদ্ধার করে। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে দ্রুত স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে।
জানা গেছে, নির্যাতিতার মাসতুতো দিদির প্রেমিক শাহার আলি সদর ধর্ষণ করেছে। ওই যুবক তার প্রেমিকার সঙ্গে পরিকল্পনা করেই এই ধর্ষণকাণ্ড ঘটিয়েছে। যুবক তার প্রেমিকাকে মোবাইল ফোন ও টাকা দেওয়ার লোভ দেখায়। বদলে সে প্রেমিকার বোনকে কাছে চায়। নির্যাতিতার দিদি সেই ফাঁদে পা দিয়ে রাজি হয়ে যায়। নিজের বোনকে তুলে দেয় প্রেমিকের হাতে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই শিশুকন্যাটির ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। ধর্ষণ করার পর লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যৌনাঙ্গে। যার কারণে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ দুই অভিযুক্তকে হাওড়া ডোমজুড় থেকে গ্রেফতার করে। বসিরহাটের একটি আদালত অভিযুক্তদের তোলা হলে বিচারক ছয় দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার আসল বাড়ি নিহালপুরে। সে মাটিয়াতে এসেছিল নিজের মাসির বাড়িতে ঘুরতে।
2022-04-05