বাংলাদেশে এক মহিলা টিপ পরে রাস্তায় চলছিলেন অধ্যাপিকা লতা সমাদ্দার। তিনি বাংলাদেশের ঢাকার তেজগাঁও কলেজে পড়ান। তিনি পথ চলার সময়ে হেনস্থার শিকার হন। এক পুলিশ আধিকারিক তাঁকে ও তাঁর টিপ পরাকে উদ্দেশ্যে করে কটু মন্তব্য করেন। শুধু তাই নয়, ওই পুলিশ আধিকারিক অধ্যাপিকার ওপর দিয়ে বাইক চালিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করেন। এই অবস্থায় চোট পেয়ে থানার দারস্থ হন অধ্যাপিকা। তাঁর লিখিত অভিযোগের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের রাজধানীর তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার রুবাইয়াত জামানের বক্তব্য, “বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব নিয়েই দেখা হচ্ছে। এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে”। এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই এবার মন্তব্য করলেন সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন।
তিনি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার তাঁর গ্রীন রোডের বাড়ি থেকে তেজগাঁও কলেজের দিকে যাওয়ার পথে ঘটনাটি ঘটেছে। এক পরহেজগার পুলিশ তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। করেছেন কারণ প্রভাষক কপালে টিপ পরেছেন। পরহেজগার পুলিশ টিপ একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। তিনি মনে করেন, টিপ জিনিসটা ইসলামবিরোধী। লোকটি এই দেশে ইসলামবিরোধী কিছুই ঘটতে দেবেন না বলে পণ করেছেন। লোকটির মুখে লম্বা দাড়ি। গোঁফ নেই, কিন্তু দাড়ি আছে। এ তো পুরো আইসিসের চেহারা। তাহলে দেশের পুলিশবাহিনীতে আইসিসপন্থী বেশ আছে!”
তিনি আরও লেখেন, “টিপ টিপ টিপ। মেয়েরা কত রকম ভাবে সাজতে পারে। বেচারা ছেলেদের সাজগোজের বেশি কিছু নেই। নানা রকম অলংকার, শাড়ি মিনিস্কার্ট হাইহিল, এমন কী টিপটাও পরতে পারে না। মুসলমান পুরুষেরা তো কল্পনার ঈশ্বরের উদ্দেশে কল্পনার বেহেস্তের লোভে মাথা ঠুকতে ঠুকতে কালো দাগ বানিয়ে ফেলেছে কপালে। ওটিই তাদের কালো টিপ”।
2022-04-05