স্কুলের পুরো টাকা না দেওয়ার কারণে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ছাত্রীদের। আবার যদিও বা ঢুকতে দেওয়া হয়, তাহলে তাদেরকে ক্লাস করতে দেওয়া হচ্ছে না। স্কুলের ভেতরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুললেন ছাত্রীদের অভিভাবক। ঘটনার প্রসঙ্গে অভিভাবকরা জানিয়েছেন, হাই কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী তারা প্রত্যেকেই স্কুলের ৫০ শতাংশ ফিজ জমা দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও তাদের মেয়েদেরকে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার সকালে জিডি বিরলা ও বালিগঞ্জ মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহারে। সূত্রের খবর, প্রায় ৮ জন থেকে ১০ জন ছাত্রী সকাল আটটা থেকে মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহার স্কুলের বাইরে রোদের মধ্যে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল অভিভাবকদের সঙ্গে। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। অভিভাবকদের সঙ্গে বচসা বাধে স্কুল কর্তৃপক্ষের। বচসা থেকে শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি। এদিকে আবার কয়েকজন ছাত্রীকে ভেতরে ঢুকিয়ে নিয়ে ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অভিভাবকদের বক্তব্য, ‘ভেতরে নিয়ে গিয়ে যদি ক্লাস করতে না দেওয়া হয়, তাহলে কি কারণে ছাত্রীদের আটকে রাখা হচ্ছে? তাদেরকে বের করে দিক।’
পাশাপাশি অভিভাবকরা আরও জানিয়েছেন, স্কুলের মাইনে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এককালীন যে টাকা চাওয়া হয়েছিল তা তারা কেউ দিতে পারেননি। সেক্ষেত্রে, তারা কিছু টাকা দিয়েছেন। বাকি টাকা দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে নিয়েছেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ তা মেনে নিতে নারাজ। এখন টাকা দিতে না পারার কারণে ছাত্রীদের রিপোর্ট কার্ড দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি, ক্লাস করতে দেওয়া হচ্ছে না ছাত্রীদের।
2022-04-05