হিন্দু কাল গণনা অনুসারে আজ নববর্ষ

হিন্দু কাল গণনা অনুসারে আজ নববর্ষ (চৈত্র শুক্ল প্রতিপদ)।
???? সৃষ্টি সংবৎ—১৯৭২৯৪৫১২৪।
???? কলি যুগাব্দ—৫১২৪।
???? বিক্রম সংবৎ —২০৭৯।
চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি বর্ষপ্রতিপদ নামে পরিচিত।পৃথিবীর প্রাচীনতম দিনপঞ্জিকা ‘কলি যুগাব্দ’-র আজ প্রথম দিন।

প্রতিপদ শবের অর্থ ‘প্রথমা তিথি’ মানে চান্দ্রমাসের শুক্লপক্ষ(অমাবস্যার পরের দিন) বা কৃষ্ণ পক্ষের শুরুর দিন (পূর্ণিমার পরের দিন) কে বলা হয় প্রতিপদ। আর যখন প্রতিপদ থেকে নতুন বর্ষের শুরু হয়, তাকে বলা হয় বর্ষ প্রতিপদ।

চৈত্র বর্ষ প্রতিপদ মহারাষ্ট্রে গুডি পাড়োয়া (মুম্বাইয়ের সিন্ধি মানুষজন চেতি চাঁদ), অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা ও কর্ণাটকে ইউগাদি এবং মধ্যভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মানে মধ্যপ্রদেশের মালোয়া, বুন্দেলখন্ড ইত্যাদি অঞ্চলে, ঝাড়খন্ড, বিহারের মধুবনী, মগধ, ভোজপুর ইত্যাদি অঞ্চলে চৈত্র নবরাত্রি রূপে পালিত হয়। সাধারণ মানুষ বিপুল উদ্দীপনার সাথে পূজাপাঠ, খাওয়াদাওয়া, ভজন কীর্তনের মাধ্যমে চান্দ্র বর্ষ বরণ করে নেন।
এছাড়া নেপালেও চৈত্র নবরাত্রির প্রথম দিনটিকে নববর্ষ বলে পালন করা হয়। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের হিন্দুরা দিনটিকে চেতি চাঁদ রূপে পালন করেন।

???? ব্রহ্মপুরাণ মতে এই দিনেই প্রজাপতি ব্রহ্মা জগৎ সৃষ্টি করেন।এই দিন থেকে তথা সৃষ্টি সম্বৎ ১,৯৬,০৮,৫৩ ,১২৩ বর্ষ পূর্ব, সূর্যোদয়ের সাথে ঈশ্বর সৃষ্টির রচনা শুরু করেছিল।পৃথিবীতে কালগণনার প্রথম দিন।

???? কলিযুগাব্দের প্রারম্ভ।এইদিন উজ্জয়িনীর সম্রাট অত্যাচারী শকদের পরাজিত ও বিতাড়িত করে ‘শকারি বিক্রমাদিত্য’ উপাধী গ্রহণ করে “বিক্রম সম্বত্” প্রবর্তন করেন।২০৭৮ বছর আগে এই দিনে সম্রাট বিক্রমাদিত্য তার রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

???? ভগবান রামচন্দ্রের রাজ্যাভিষেক দিবস।

???? ধর্মরাজ্য স্থাপনকারী ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরের রাজ্যাভিষেক।

???? শক্তি আরাধনায় নবরাত্রি’র সূচনা দিবস।এই দিন থেকে যশ, পরাক্রম ও সিদ্ধিলাভের জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষ ন’দিন ধরে দেবীদুর্গার আরাধনা করেন।

???? এই দিবসে 147 বছর আগে আর্যসমাজে’র প্রতিষ্ঠা করেন মহর্ষি দয়ানন্দ।বিধর্মী মানুষদের শুদ্ধির মাধ্যমে স্বধর্মে ফিরিয়ে আনার মহান ব্রত পালন করে চলেছে এই আর্যসমাজ।

???? সিন্ধু প্রদেশের সমাজ রক্ষক সন্ত ঝুলেলালের জন্মতিথি।

???? দ্বিতীয় শিখগুরু অঙ্গদদেবের জন্মতিথি।

???? অন্ধ্রপ্রদেশের বীর রাজা শালিবাহন বিক্রমাদিত্যের মতো এই দিনটিকে বেছে নিয়েছিলেন শকদের ও হুনদের পরাজিত করতে এবং দক্ষিণ ভারতে শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য।তিনি তাদের পরাজিত ও বিতাড়িত করে “শকাব্দ“এর প্রবর্তন করেন।

???? ১৩৩ বছর আগে এই মহান তিথিতে সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার কেশব বলীরাম হেডগেওয়ার জন্ম গ্রহন করেন।

???? বৈদিক নববর্ষের প্রাকৃতিক তাৎপর্য ????

১) বসন্ত ঋতুর সূচনা হয় প্রতিপদ দিয়ে, যা আনন্দ, উচ্ছ্বাস, আনন্দ এবং ফুলের সুবাসে ভরপুর।
২) এই সময় কৃষকের পরিশ্রমের ফল পাওয়ার, অর্থাৎ ফসল কাটার শুরু।

তাই সকল ভারতীয়দের কাছেই এই দিনটি অত্যন্ত মহত্বপূর্ণ।সনাতন সংস্কৃতির বাহক আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব এই দিনটি যথোচিত মর্যাদার সঙ্গে পালন করা।

???? কীভাবে বৈদিক নববর্ষ উদযাপন করবেন ????

১/ আমরা একে অপরকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে।

২/ আপনার পরিচিত বন্ধু এবং আত্মীয়দের নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান।

৩/ এই শুভ উপলক্ষে নিজ নিজ বাড়িতে বৈদিক পতাকা উত্তোলন করুন। বেদ ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়নের প্রতিশ্রুতি নিন। অপরকে দান করুন।

৪/ বাড়িতে এবং ধর্মীয় স্থানে হবন যজ্ঞের অনুষ্ঠানের আয়োজন করুন।

৫/ এই উপলক্ষে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করুন বা অনুষ্ঠানের আয়োজন করান।

সারাদেশের আর্যসমাজ মন্দিরে এই দিনটিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।আপনাদের সবাইকে এই কর্মসূচিতে সাদরে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

???? “বৈদিক নববর্ষ” আনন্দের সাথে উদযাপন করুন আর অন্যদের অনুপ্রাণিত করুন” ????
নূন্যতম:- 5টি প্রদীপ প্রজ্বলন করুন।
সময়:- ঠিক সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে
অবস্থান:- আপনার থাকার জায়গা।

সবাইকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা.. ????

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.