২০২২ সালের মরশুমে কেকেআর-এ আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটিং অর্ডারের কোনও ঠিক নেই। এর আগে আরসিবির বিরুদ্ধে আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন রাসেল। তাও ২৫ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহক হয়েছিলেন তিনি। গতকাল রাসেল নামেন ছয় নম্বরে। ততক্ষণে ৫১ রানে চার উইকেট পড়ে গিয়ে চাপে কলকাতা। সেখান থেকে প্রায় এক হাতে দলকে শুধু টানলেনই না, খুব সহজে জয় এনে দেন রাসেল। একটি টি-২০ ম্যাচে ৩৩ বল বাকি থাকতে ম্যাচ শেষ হলে বিশাল জয় হিসেবেই গণ্য হয়। আর এই দুর্দান্ত ইনিংস খেলেই কেকেআর ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে রাখলেন আন্দ্রে রাসেল।
ম্যাচ শেষে রাসেল নিজের পছন্দের ব্যাটিং নম্বর নিয়ে একটি ধারনা দিয়ে রাখলেন দলের ম্যানেজমেন্টকে। রাসেল বলেন, ‘দুর্দান্ত লাগছে। এই কারণেই আমরা এই খেলায় অংশগ্রহণ করি। সেই জায়গায় (ব্যাটিং অর্ডারে), আমি জানি আমি কী করতে পারি।’ রাসেল আরও বলেন, ‘স্যাম-এর মতো একজন ক্রিজে থাকায় ভালো হয়েছিল। সে স্ট্রাইক রোটেট করতে পারে এবং দলকে কঠিন সময়ে সাহায্য করতে পারে। একবার আমি ঘামতে শুরু করলে, আমি শুধু নিজেকে বলেছিলাম, এবার আমি মারতে শুর করব। আমি আমার ক্ষমতা জানি এবং তার উপর বিশ্বাস রাখি। আজ রাতে আমি সেটাই করেছি। দলকে জেতাতে পেরে আমি খুশি। দলের যা প্রয়োজন তাই করতে পেরে আমি খুশি।’
রাসেল এদিন আরও বলেন, ‘আমদের কয়েকটা উইকেট পড়ে গিয়েছিল। আমার পড়ে ছিল সুনীল এবং তারপরে অন্যান্য বোলাররা। আমি জানতাম যে আমরা দু’জনকে (রাসেল ও বিলিংস) পার্টনারশিপ গড়তে হবে। আমি স্যামকে বললাম, ‘শোনো, কয়েক ওভার ব্যাট করে দেখি কী হয়।’ কিন্তু আমরা তার আগেই মারতে শুরু করেছিলাম। কারণ বাঁ-হাতি অর্থোডক্স বোলারের বল ঘুরছিল না এবং পিচে কিছুই ঘটছিল না। তাই আমি এক প্রান্ত থেকে দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং অন্য প্রান্ত থেকে সিঙ্গেল পেতে চেয়েছিলাম। চাহার অবশ্য দারুণ বোলিং করছিল, বল গ্রিপ করছিল। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে বেশি সুযোগ নিতে চাইনি। আমরা জানতাম এই কাজটা (অন্য বোলারকে টার্গেট করা) সহজ হবে।’