শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গাদের ভাতা বন্ধ হয়েছে সাসপেনশনের জেরে। এই আবহে বিরোধী বিধায়কদের সাসপেনশনের কারণ জানতে চেয়ে বিধানসভায় চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই আবহে পাল্টা রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবাবুর বক্তব্য, ‘রাজ্যপালের উচিত বিরোধী বিধায়কদের পাঠ দেওয়া। রাজ্যপালের তাঁদের বলা উচিত, যাতে তাঁরা এই সব না করেব। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয়, রাজ্যপাল এই সবে নিরুৎসাহ না করে উৎসাহ দিচ্ছেন বিরোধীদের।’
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বিধানসভার অধ্যক্ষ সাসপেন্ড করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা, নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ, জয়পুরের বিধায়ক নরহরি মাহাতকে। এর জেরে শুরু হতে চলা কমিটিগুলির বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না এই বিজেপি বিধায়করা। এর জেরে বিধায়করা মাসিক ৬০ হাজার টাকা ভাতা তারা পাবেন না। এই সংক্রান্ত চিঠিও পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট সাসপেন্ড হওয়া বিধায়কদের। সাসপেন্ড হওয়া বিধায়করা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এর প্রেক্ষিতে এবার রাজ্যপাল চিঠি পাঠালেন বিধানসভায়।
উল্লেখ্য, অধিবেশনের শেষ দিন ২৮ মার্চ তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের মারপিট হয় বিধানসভা কক্ষেই। এর জেরে বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে যায়। তাঁর বুকে চোট লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে যায়। অসিতবাবুর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর নাক ফাটিয়ে দিয়েছিলেন। এই আবহে বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজার অবশ্য অন্ত নেই।