করোনা এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। তার সবচেয়ে বড় কারণ টিকার প্রয়োগ। কিন্তু টিকা আসার আগে কীভাবে করোনাকে সামলানো যাবে, তা নিয়ে নানা মত উঠে এসেছিল চিকিৎসকমহলে। এমনকী বেশ কিছু ওষুধের প্রয়োগও শুরু হয় তখন। কারও কারও মত ছিল, প্রত্যক্ষভাবে সেই সব ওষুধ ভাইরাসকে আটকাতে না পারলেও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভালোভাবে কাজ করছে।
এমনকী সেই সব ওষুধ কেনার জন্য রীতিমতো হাহাকারও শুরু হয়েছিল ওষুধের দোকানে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে থাকায় সেই সব ওষুধগুলি নিয়ে আরও বেশি করে গবেষণা করার সুযোগ পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। আর তা থেকে উঠে আসছে নানা নতুন তথ্য। যেমনই হালের গবেষণায় উঠে এল, একটি ওষুধের কার্যকারিতার প্রশ্ন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এই ওষুধটি করোনাকালে বিপুল জনপ্রিয় হয়েছে। সারা পৃথিবী জুড়ে অনেকেই এই ওষুধটি খেয়েছেনে। প্রত্যক্ষভাবে ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ ঠেকাতে না পারলেও এঠি নাকি করোনার বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করছিল। এটি ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ ঠেকানোর ওষুধ। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এটি একেবারেই কোনও কাজ করতে পারে না করোনার বিরুদ্ধে।
কী এই ওষুধটি?
এটি আর কিছুই নয়— আইভারমেকটিন (Ivermectin)। হালে প্রায় দেড় হাজার করোনা সংক্রমিতের উপর এই ওষুধটি প্রয়োগ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তার ফল দেখেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তাঁরা। এটি করোনার বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র কাজ করতে পারে না।
সম্প্রতি আমেরিকার University of Minnesota-র গবেষকরা এই ওষুধটি নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিলেন। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, এমন একটি প্রমাণও পাওয়া যায়নি, যা থেকে বলা সম্ভব এটি করোনার বিরুদ্ধে ন্যূনতম কাজও করতে পারে।
করোনাকালে এমন বহু ওষুধ কোম্পানি নিজেদের ওষুধ বিক্রি করে বিপুল পরিমাণে টাকা রোজগার করে ফেলেছে। এই সব ওষুধ কোম্পানির ওষুধগুলি আদৌ কতটা কাজের, তা নিয়ে রীতিমতো সন্দেহ দেখা দিচ্ছে আস্তে আস্তে। সেই তালিকায় এবার প্রথমেই চলে এল আইভারমেকটিনের নাম। আগামী দিনে এই তালিকায় আর কোন কোন ওষুধ এই তালিকায় ঢুকে পড়বে, তা নিয়েও রীতিমতো সন্দেহ রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে।