আন্তর্জাতিক স্তরে বাণিজ্যিক বিভাগে এক ধরণের অস্থিরতা দেখা গেছে। এই অস্থিরতা শুধু আবার বাণিজ্যিক বিভাগেই নয়, দেখা গেছে খাদ্য শস্যের বিভাগেও। সব রকমের খাদ্য শস্য তো আর সমস্ত দেশের পক্ষে চাষ করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি, বিভিন্ন দেশ সাহায্য নেয় আমদানি ও রফতানি মাধ্যমের। যদিও, এই মাধ্যমই রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ হওয়ার পর থেকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বিশ্বজুড়ে গমের চাহিদা প্রবল। বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক কারণের জন্য বহু দেহ গম উৎপাদন করতে ব্যর্থ। এই অবস্থায় বিশ্ব জুড়ে শতাংশের হারে সবচেয়ে বেশি গম সরবরাহ করতো রাশিয়া ও ইউক্রেন। ইউক্রেনের ওপর ‘সামরিক অভিযান’ শুরু করার পশ্চিমী দেশগুলি রাশিয়ার ওপরে জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা। ওপর দিকে, ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন নিজে গম সরবরাহ করেত ব্যর্থ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম আমদানিকারী দেশেদের কপালে পড়েছে ভাঁজ।
এরপরেই, কপালের এই ভাঁজ দূর করতে এগিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। যেহেতু উতপাদনের নিরিখে ভারতের অবস্থান বেশ ভালোই রয়েছে, সেহেতু দেশের ছেড়েও এবার বিদেশীদেরও পেটের খিদে মেটাতে প্রস্তুত ভারত। উল্লেখ্য, যে সমস্ত দেশগুলি রাশিয়া ও ইউক্রেনের কাছ থেকে গম নিত, ভারত এইবার সেই সমস্ত দেশগুলিকেই গম সরবরাহ করতে চলেছে। এরমধ্যে রয়েছে মিশর। জানা গেছে, মিশরে গম রয়াফতানি করার জন্য আলোচনাও শুরু হয়ে গেছে।