পুলবামা হামলার পর থেকে পাকিস্থানের উপর চাপ প্রয়োগ করার কাজ শুরু করেছিল ভারত। পাকিস্থানের থেকে MFN এর মর্যাদা কেড়ে নিয়ে ভারত তার উদেশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছিল। পুলবামা হামলার পর ভারত পাকিস্থান থেকে আসা মালের উপর ট্যাক্স ২০০ গুন বাড়িয়ে দিয়েছে যার ফলে পাকিস্থানের ব্যাবসার সর্বনাশ হয়েছে। শুধু নয়, ভারতের সবজি ব্যাবসায়ীরা পাকিস্থানে রপ্তানি করাও বন্ধ করে দিয়েছে যার ফলে পাকিস্থানের বাজার দর আকাশ ছুঁয়েছে। পুলবামা হামলার পর কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নীতিন গড়করি এটাও বলেছিলেন যে আমরা পাকিস্থান যাওয়া জল আটকে দেব। সেই সময় নীতিন গড়করির কথা এতটাও কেউ গুরুত্ব হিসেবে নেয়নি। পাকিস্থানের সরকারও এটাকে শুধুমাত্র একটা হুমকি হিসেবে এড়িয়ে গেছিল। তবে এবার ভারত সরকার পাকিস্থানের উপর যে কড়া হুমকি দিয়েছিল সেটা কার্যকরীও হয়ে গেছে।
রবিবার দিন ভারত থেকে যাওয়া তিন নদীর জলকে পাকিস্থানের যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল রাজস্থানের বিকানেরে এই খবর মিডিয়া কাছে দিয়েছেন। ভারত থেকে পাকিস্থানে বয়ে যাওয়া জলের মধ্যে এখনো পর্যন্ত ০.৫৩ মিলিয়ন একর ফিট জল আটকে দেওয়া হয়েছে। আগত সময়ে এই জলকে ভারত দেশের কাজে ব্যবহার করা হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল বলেছেন আমরা যে জল আটকে দিয়েছি সেটাকে স্টোর করে রাখা হচ্ছে। রাজস্থান ও পাঞ্জাবের জন্য এই জল ব্যাবহার করা হবে। এই সঞ্চিত জল পানীয় হিসেবে এবং কৃষি জমিতে সেচ কার্যের জন্যেও ব্যাবহার করা যাবে। উনি বলেন এটা ভারতের জন্য বড় উপলদ্ধি যে আমরা পাকিস্থান যাওয়া জল আটকে দিয়ে সেটাকে সঞ্চিত করে নিচ্ছি। সরকার পাকিস্থানের বিরুদ্ধে যে নির্ণয় নিয়েছিল সেই হিসেবে একশন নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী একশন সবে শুরু, সরকার কাশ্মীরে ৩ টি ব্যারেজ তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে এবং সেখানের জলকেও উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে মুড়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে। এছাড়াও পাকিস্থানের দিকে যাওয়া রাবি নদীর জলকেও ভারত আটকে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর জন্য পাঞ্জাবের পাঠানকোটে বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা সাহাপুর-কান্ডি বাঁধের কাজ আবার শুরু হবে। এর জন্য পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিং ৮ ই মার্চ শিল্যান্স করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ২০৭৩ কোটি টাকার এই প্রজেক্ট একদিকে পাঞ্জাবের জন্য বড় জলের উৎস হবে একইসাথে পাকিস্থানে যাওয়া জল অনেকাংশে আটকে দেবে। এমনিতেই পাকিস্থানের জলের সংকট লেগেই থাকে। তার মধ্যে ভারত যেভাবে একশন শুরু করেছে তাতে পাকিস্থান শীঘ্রই মরুভূমিতে পরিণত হলে, আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।