বগটুইকান্ডের মধ্যেই গরু পাচার মামলায় বিপদে অনুব্রত, ‘কোনও রক্ষাকবচ নয়’, জানিয়ে দিল হাই কোর্ট

বড় ধাক্কা খেলেন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে দিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রামপুরহাট গণহত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এই ঘটনায় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নামে তোলার টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন নিহতের আত্মীয়রা। এই পরিস্থিতিতে গরু পাচার মামলাতেও বিপাকে পড়লেন অনুব্রত। এই মামলাতেও তদন্ত করছে সিবিআই।

অনুব্রত মণ্ডল রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল। রক্ষাকবচ না থাকায় সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলে অনুব্রতকে হাজিরা দিতেই হবে। নিঃসন্দেহে আদালতের এই নির্দেশ এই মুহূর্তে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, বারবার সিবিআই তলব সত্বেও তা এড়িয়ে গিয়েছেন বীরভূমের ডাকাবুকো নেতা। শেষমেশ ১৫ মার্চ নিজামে তলব অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু নিজাম প্যালেসে নয়, বরং বোলপুরের কাছাকাছি সিবিআইয়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে চায় অনুব্রত। আগেই অবশ্য বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ হয়েছিল অনুব্রতর। ভরসা ছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু এদিন রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল থাকল সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ।

প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে তৃতীয়বারের জন্য নোটিশ পাঠায় সিবিআই। ১৫ মার্চ সকাল ১১ টায় নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়। তা চ্যালেঞ্জ করে সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন অনুব্রত। গত ১১ মার্চ গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের মামলা খারিজ করে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গেল বেঞ্চ। সে সময় সিঙ্গেল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই মামলায় এই মুহূর্তে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। বিকল্প আইনি ব্যবস্থা রয়েছে। চাইলে আগাম জামিনের আবেদন তিনি করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.