২১ এর টিম তৈরি করে নিতে চাইছে বিজেপি

প্রতিদ্বন্দ্বী তৃনমূল কংগ্রেস ‘ভোটগুরু’ প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে রাজ্যে হারানো জমি ফিরে পেতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতে, ২০২১ সালের মহাগুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘স্ট্রাটেজি’ তৈরির বৈঠক হিসাবেই দুর্গাপুরের চিন্তন বৈঠককে চিহ্নিত করা হয়েছিল। রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ ফাঁকা জায়গায় কার্য কর্তা নিয়ে আসে ২০২১ এর লড়াইয়ে নামতে চাইছে বিজেপি।

লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন পেয়ে পার্টি পশ্চিমবঙ্গে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তার উপর, সদস্যতা অভিযানে ভালো ফল করে কেন্দ্রীয় পার্টির সুনজরে রয়েছে রাজ্য বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের ‘টিম’ তৈরি করে নিতে চায় রাজ্য। কিন্তু, পুরোনো ‘টিমে’র খুব বেশি রদবদল চায় না। সেক্ষেত্রে, রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখ হিসাবে দিলীপ ঘোষ থাকবেন, তা নিশ্চিত।

তবে, দিলীপের কাজের ভার কমাতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ থেকে কোনও কার্যকর্তা আসতে পারেন। কার্যকরী সভাপতি হিসাবে তিনি রাজ্য বিজেপির সংগঠনের কাজ দেখাশোনা করতে পারেন, সেই সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপিতে কিছু ফাঁকা পদে কার্যকর্তা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০১৫ সালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হন দিলীপ ঘোষ। পার্টি সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালেই সভাপতি হিসাবে নিজের প্রথম অধ্যায় শেষ করেছেন। কিন্তু দল তাঁকে দ্বিতীয় অধ্যায়ের সূচনা করতে বলেছিল অনেক আগেই। পার্টি সংবিধান অনুযায়ী, একজন সভাপতি দুই বার পরপর তিন বছর করে সভাপতিত্ব করতে পারেন।

কিংবা ৬ বছর টানা সভাপতিত্ব করত পারেন – সেক্ষেত্রে যেটা আগে হবে সেটিই তার সভাপতিত্বের শেষ দিন হিসাবে ধরবে পার্টি। দিলীপ ঘোষের ক্ষেত্রে ২০২১ পর্যন্ত সভাপতির চেয়ারে থাকবেন তা নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিলীপের নেতৃত্বেই ঝাঁপাবে পার্টি। পার্টির ভিতরের খবর, হিন্দুত্বের পোস্টার বয় দিলীপ ঘোষ-ই রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখ হন, তা-ই চায় দিল্লি। তবে পর্দার আড়ালেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চাণক্যনীতি চালিয়ে যাক মুকুল – তাও চায় দিল্লি। সেক্ষেত্রে ২০১৯ এবং ২০২১ সালের টিমের মধ্যে বিশেষ ফারাক চায় না বিজেপির কেন্দ্রীয় পার্টি।

সূত্রের খবর, দলের তিন জন সাধারণ সম্পাদক পরিবর্তিত হবেন। তাঁদের জায়গায় নতুন মুখ আসবেন। সাংসদ ডা. সুভাষ সরকার সম্ভবত সহ সভাপতি থাকবেন না। অন্য কেউ সহ সভাপতি হবেন। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সম্ভবত মহিলা মোর্চার সভাপতি থাকছেন না। তাঁর জাযগায় আসতে পারেন ভারতী ঘোষ। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সম্ভবত মহিলা মোর্চার সভাপতি থাকছেন না। তাঁর জাযগায় আসতে পারেন ভারতী ঘোষ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী সম্ভবত সাধারণ সম্পাদক থাকছেন না।

তাঁর জায়গায় অন্য কেউ সাধারণ সম্পাদক হবেন। যুব মোর্চার সভাপতি পরিবর্তিত হতে পারে। যুব মোর্চার নতুন সভাপতি হতে পারেন সপ্তর্ষি চৌধুরী। তবে, চিন্তন বৈঠকের পর সর কিছুই সম্ভাবনার স্তরে থেকে গিয়েছে। আপাতত, বিজেপির চিন্তন বৈঠকের রিপোর্ট দেখে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেবেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.