পাকিস্থান কথায় কথায় ভারতকে পারমাণবিক বোমার ভয় দেখায়।এর থেকে এই প্রশ্নের জন্ম হয়েছে যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর টেবিলেও কি পারমাণবিক বোতাম থাকে? পরমাণু হামলা কি চুটকি বাজিয়ে করে দেওয়া সম্ভব? পারমাণবিক বিশেষজ্ঞদের মতে প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে এমন কোনো বোতাম থাকে না, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা স্মার্ট কোড থাকে যেটা ছাড়া পারমাণবিক হামলা করা অসম্ভব।
কে পরমাণু হামলার আদেশ দিতে পারে?
পরমাণু হামলা করার জন্য বোতাম কামান্ডের টিমের কাছে থাকে। এমনিতে পরমাণু হামলার করার নির্ণয় প্রধানমন্ত্রী নিতে পারেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেশের রাষ্ট্রপতির সহমতি ছাড়া এই কাজ করতে পারেন না। জানিয়ে দি, প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষা কামান্ডোর কাছে একটা ব্রিফ বক্স থাকে সেখানে পরমানু হামলার তথ্য এবং রেডিও ট্রান্সমিশন সহ নানা সরঞ্জাম মজুত থাকে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা স্মার্ট কোড থাকে যেটা হামলার আগে ভেরিফিকেশন কোড হিসেবে পরমাণু কামান্ডকে পাঠানো হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এটা অধিকার থাকে যে উনি নিজের ইচ্ছামত কোড রাখতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে থাকা কোড ছাড়াও অন্য দুটি কোড থাকে সেগুলি কোথায় রাখা হয়, কোন লকারে রাখা হয় সেটা কাউকে জানানো হয় না। এই কোড দুটিকে সেফ কোড বলা হয়। তিনটি কোড সঠিক ভেরিফিকেশন হলে তারপর মিসাইল ছাড়া হয়। মিসাইল ছাড়ার পক্রিয়াতে ৩৫-৪০ মিনিটের সময় লেগে থাকে।
ডক্টর শুভ্রামনিয়াম স্বামী বলেছেন যে পাকিস্থান পারমাণবিক শক্তির ভয় দেখলেও এটা ব্যবহার করার জন্য ‘কি’ তাদের কাছে নেই। উনার বলার অর্থাৎ পাকিস্থানের পারমাণবিক কোড আমেরিকার কাছে রয়েছে। তাই পাকিস্থানের তরফ থেকে এত সহজে পারমাণবিক হামলা হওয়া সম্ভব নয়।