রামপুরহাট গণহত্যার পর থেকেই কড়া পদক্ষেপ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ–প্রশাসনকে সর্বত্র বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই সালানপুর, কেশপুর–সহ নানা জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হতে শুরু করেছে। এবার সেখানে বাড়তি সংযোজন দক্ষিণ ২৪ পরগণার জীবনতলা। যেখানে শনিবার রাত থেকে তল্লাশি অভিযানে নামে জীবনতলা থানার পুলিশ। আর সেখান থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র–সহ গ্রেফতার করা হয় পাঁচ দুষ্কৃতীকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এখানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কয়েকজন গা–ঢাকা দিয়েছে বলে খবর মিলেছিল। তাই এখানে তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়ে পুলিশ। সেই সূত্রের উপর ভিত্তি করে এগোতেই নানা জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। এমনকী দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করা হয়। জীবনতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কার্তিক দে মজুমদার (২৬), জাফর মোড়ল (১৯), মিন্টু গায়েন (৪০), শাহজাহান শেখ (৩২) এবং রবিউল লস্কর (৩১)।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কী কী বাজেয়াপ্ত হয়েছে? এই অপারেশনে নেমে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে, পাঁচটি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র। সেগুলি প্রত্যেকটিই অত্যাধুনিক। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি লম্বা দেশীয় বন্দুক, রাইফেল এবং কয়েক রাউন্ড কার্তুজ। ধৃত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কেন তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়েছিল? কোথা থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র এসেছিল? কারা রয়েছে এই দুষ্কৃতীদের পিছনে? জানতে জেরা শুরু করেছে পুলিশ। এমনকী মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থেকেও উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বোমা। তাই প্রতিটি জেলায় পুলিশ ধরপাকড়, তল্লাশি শুরু করে দিয়েছে। তাতেই উঠে আসছে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে বোমা–কার্তুজ।