সীমান্তে সংঘাত, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কীভাবে স্বাভাবিক হবে! ওয়াংকে বললেন জয়শংকর

সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কখনও স্বাভাবিক হতে পারে না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি এবং সুস্থিতি বজায় রাখার উপরই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি নির্ভর করে। শুক্রবার চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই’য়ের সঙ্গে বৈঠকের নিজের অবস্থানে অনড় থেকে এমনই বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।

শুক্রবার সকালে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন ভারত এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী। সেই বৈঠকের পর জয়শংকর জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, সীমান্ত সংঘাত-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ওয়াঙের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য যে আরও পথ অতিক্রম করতে হবে, তা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘(সীমান্তে যা) পরিস্থিতি, সেটাকে ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস (কাজ চলছে) পর্যায়ে আছে বলব। যা আশা করা হয়েছিল, তার থেকে অবশ্যই ঢিমেতালে (সেই কাজ) চলছে। আজ ওয়াং ই’য়ের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে সেই প্রক্রিয়ায় আরও গতি আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল।’

তারইমধ্যে সাংবাদিক বৈঠকে জয়শংকর আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সীমান্তে যে সংঘাত শুরু হয়েছে, তা চিনের জন্যই। ২০২০ সালের এপ্রিলে চিনের একতরফা পদক্ষেপের জেরেই পূর্ব লাদাখ সীমান্তে এখনও উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি। জয়শংকর বলেন, ‘সীমান্তবর্তী এলাকায় যে উত্তেজনা আছে, গত দু’বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তার প্রভাব পড়েছে। এটা একেবারেই স্বাভাবিক। কারণ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি এবং সুস্থিতি বজায় রাখার উপরই স্থিতিশীল এবং সহযোগিতামূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি নির্ভর করে। সেই ভিত্তি মজবুত করা এবং বর্তমানে আমরা যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি, তা আটকানোর জন্য অবশ্যই আমাদের বিভিন্ন চুক্তি আছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.