লাভ জিহাদের আরও এক মর্মান্তিক পরিণতি। মুসলিম অটো ড্রাইভার মহম্মদ ইজাজের প্রেমে পরেছিলেন এমবিএ পাস হিন্দু তরুণী। ধর্ম পরিবর্তন করে তাঁকে বিয়েও করেন। কিন্তু সেই বিয়ে সুখকর হল না। বিয়ের পর জানতে পারলেন ইজাজের আরও একটি বিয়ে, এমনকী তাঁদের সন্তানও আছে। তার প্রতিবাদ করতেই হিন্দু তরুণীকে চপার দিয়ে কোপাল মুসলিম প্রেমিক।
হিন্দু তরুণীর নাম অপূর্বা পুরানিক। কর্ণাটকের গাদাগ জেলার বাসিন্দা। অটোতে যাওয়া আসার সময়ে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় অটো চালক মহম্মদ ইজাজের সঙ্গে। প্রথমে বন্ধুত্ব এবং পরে তা প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। মহম্মদ ইজাজ তাকে বলেছিল যে সে কলেজ ছাত্র এবং অবসর সময়ে অটো চালিয়ে কিছু অর্থ উপার্জন করে। সহজ সরল অপূর্বা সে কথায় বিশ্বাস করেছিল।
একসময় অটো চালক মহম্মদ ইজাজকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন অপূর্বা। পরিবারের তরফে বাধা দেওয়া হলে সে প্রেমিক ইজাজের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। শুধু তাই নয়, বিয়ের পরে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয় সে এবং তাঁর নতুন নাম হয় আরফা বানো। বিয়ের পরে তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়। এভাবেই চলছিল।
এরই মাঝে একদিন অপূর্বা জানতে পারে যে সে প্রতারিত হয়েছে। তাঁর স্বামী মহম্মদ ইজাজ আদতে বিবাহিত এবং তাঁর তিন জন সন্তান রয়েছে। তা জানার পরই দুজনের অশান্তি চরমে ওঠে। অপূর্বা ভাড়া বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে আসে। তারপর থেকেই ডিভোর্সের জন্য মহম্মদ ইজাজকে চাপ দিতে থাকে সে। আর তাতেই ক্ষেপে যায় মহম্মদ ইজাজ।
ঘটনার দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেলে অপূর্বা তাঁর এক প্রতিবেশীকে নিয়ে বাড়ির কাছের একটি মাঠে গিয়েছিল স্কুটার চালানো শিখতে। সেখানেই ধারালো চপার নিয়ে হাজির হয় মহম্মদ ইজাজ। অপূর্বাকে ধরে এলোপাথাড়ি কোপায় সে। গলায়, ঘাড়ে, মুখে একাধিকবার কোপ মারে। তারপরই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অপূর্বা। চিকিৎসকরা জানান যে অপূর্বাকে মোট ২৩ বার কোপানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক ইজাজ।