কোভিড কাটিয়েও সেরে উঠেও কিছুতেই কমছে না কাশি? পোস্ট কোভিডের বিভিন্ন চিকিৎসার পরও যদি কাশি বা জ্বর কাটতে না চায়,তাহলে অবশ্যই যোগাযোগ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে। বিভিন্ন চিকিৎসকরা বলছেন, কোভিড থেকে সেরে উঠে বিভিন্ন রোগীর মধ্যে কাশি বা জ্বরের উপসর্গ যদি দেখা যায়,তাহলে অবশ্যই টিউবারকিউলোসিস টেস্ট করানো দরকার।
বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, কোভিড সারিয়ে উঠে বহু রোগীর শরীরেই টিবির উপসর্গ দেখা গিয়েছে। অনেকের শরীরেই রয়েছে কাশির উপসর্গ। এরসঙ্গে রক্তপড়ার ঘটনা দেখা গিয়েছে। এমনকি ওজন কমতেও শুরু করেছে। এই সমস্তই টিবির উপসর্গ। বহু কোভিড রোগী সেরে ওঠার সময় এমন সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। শালিমারবাগে ফোর্টিস হাসপাতালের চিকিৎসক বিকাশ মৌর্য বলছেন, কোভিড রোগীদের মধ্যে টিবির সংক্রমণ ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র কোভিড রোগীদের শরীরেই এই রোগ দানা বাঁধছে না, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও শরীরে টিবির সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। চিকিৎসক মনোজ গোয়েল বলছেন, কোভিডের দ্বিতীয় স্রোতের পর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে একাধিক রদবদল দেখা গিয়েছে। কোভিড ম্যানেজমেন্টে বিভিন্ন স্টেরয়েডের ব্যবহার বিশেষত টসিলিজুমাবের ব্যবহার বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলছেন, ‘কোভিডের পরে টিবিতে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই সেরে উঠছেন। তবে কোভিডের সঙ্গে টিবির আসল সম্পর্ক এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে বহু চিকিৎসকই লক্ষ্য় করেছেন যে কোভিড রোগীদের দেহে কীভাবে বাসা বেঁধেছে টিবি।’
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছে, অ্যাক্টিভ টিবি কোভিডের অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড জমানার আগেও টিবি একটি বড়সড় উদ্বেগের কারণ ছিল, আর কোভিড পরবর্তী সময়ও টিবি প্রভাব ফেলতে পারে। তবে টিবিকে রুখতে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা। এছাড়াও লকডাউনের সময়ের জীবনযাত্রা টিবিকে ছড়িয়ে পড়ার হাত থেকে রুখেছে অনেকটাই।
চিকিৎসকরা বলছেন-
-টিবিকে রুখতে হলে বাদ দেওয়া যাবে না ব্রেকফাস্ট।
– কম ঘুম বা প্রবল পরিশ্রম বিপদ ডেকে আনতে পারে।
-বেশি রাত পর্যন্ত জাগা ঠিক হবে না কোভিড থেকে সেরে ওঠা রোগীদের।
-কড়া ডায়েট প্ল্যানে থাকতে হবে।