Birbhum Massacre: গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট – বগটুইকাণ্ডে রাজ্যকে নির্দেশ হাইকোর্টের

রামপুরহাটের বগটুইয়ে নৃশংস ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেস ডায়েরি বা রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বুধবার রাজ্য সরকারকে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ, পুরো এলাকা সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলতে হবে। সাক্ষী ও গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে রাজ্যকে। ঘটনাস্থল থেকে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির দিল্লির আধিকারিকদের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


বগটুইয়ের নৃশংস ঘটনা নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল সওয়াল করেন, সিবিআই বা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তদন্তভার দেওয়ার আগে রাজ্যের তদন্ত প্রক্রিয়াও দেখা উচিত। যে সওয়াল গ্রহণ করেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ। হাইকোর্ট বলেছে, ‘প্রথমে আমরা রাজ্য সরকারকে আগামিকাল দুপুর দুটোর মধ্যে কেস ডায়েরি বা রিপোর্ট প্রদানের সুযোগ দিচ্ছি। এখনও পর্যন্ত যা তদন্ত হয়েছে, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট ২৪ মার্চ দুপুর দুটোর মধ্যে প্রদান করতে হবে।’

সেইসঙ্গে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, পুরো এলাকা সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলতে হবে। তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা থাকতে পারবে। যা সব দিকের ছবি তুলে ধরতে হবে। পরবর্তী নির্দেশের আগে পর্যন্ত টানা রেকর্ডিং করারও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের জেলা জজের উপস্থিতিতে সেইসব সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাক্ষীদের যাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করা হয়, তা পূর্ব বর্ধমানের জেলা জজের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং আইজিকে নিশ্চিত করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যে তাঁদের কোনওভাবে প্রভাবিত না করা হয় বা ভয় দেখানো না হয়।

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। তারপরেই তাণ্ডব শুরু হয় বগটুই গ্রামে। একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। তবে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন দাবি করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, আটজন মারা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে দমকল দাবি করেছিল, ১০ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.