মঙ্গলবার গভীর রাতে কবর দেওয়া হলো বকটুই গ্রামের দশটি মৃতদেহ। অভিযোগ কবর দেওয়ার সময় পরিবারের কেউ সেখানে ছিল না, তাদের ডাকা হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেই এই কবরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অন্যদিকে তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন আজ জানিয়েছেন আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছে ১০ জনকে।
টিভি ফেটে কিংবা গ্যাস সিলিন্ডার বাস্ট করে নয়, আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে আট জনের। অনুব্রত মণ্ডল ও ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যকে নস্যাৎ করে আজ একথা জানালেন তৃণমূলের রামপুরহাট ১ ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। যদিও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, আনারুল হোসেনের নির্দেশেই আগুন লাগানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ভাদু শেখ খুনের পরেই খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন আনারুল হোসেন। তিনি সেখানে বার বার শান্তির বার্তা দেন। কিন্তু রাত গড়াতেই গ্রামে অশান্তি নেমে আসে। হত্যালীলা শুরু হয় গ্রামে। মৃত্যু হয় দশ জনের। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ ব্লক সভাপতি আনারুল নির্দেশেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামে। ভাদু খুনের আসামিরাই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যালীলা চালিয়েছে। তৃণমূলকে বদনাম করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে পুলিশের আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল। আবার এই ঘটনায় যে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা আনারুল ঘনিষ্ঠ নয়, সকলেই নিহত ভাদু শেখ ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে রাতের অন্ধকারে আট জনের সমাধি দেওয়া নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের না জানিয়েই আটটি মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।