কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারত কিছুটা নড়বড়ে।’ এরপরই মার্কিন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস। তিনি মঙ্গলবার বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অপরিহার্য অংশীদার ভারত। কারণ উভয় দেশই একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেয়। ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়া ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক রয়েছে প্রতিরক্ষা খাতে। সেই সম্পর্ক আমাদের সম্পর্কের মাঝে আসে না। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পছন্দের অংশীদার।’
ভারতের অবস্থান প্রসঙ্গে নেড প্রাইস বলেন, ‘এটা ইতিহাস বনাম বর্তমানের প্রশ্ন… ভারতের অবশ্যই রাশিয়ার সাথে ঐতিহাসিকভাবে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক যুগে যুগে তৈরি হয়েছে এবং তারা এমন এক সময়ে একত্রিত হয়েছিল যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা আমাদের কিছু অংশীদার ভারতের সাথে এই ধরনের সম্পর্ক রাখতে প্রস্তুত ছিল না। সেই সময়টা খুবই আলাদা ছিল। কিন্তু সেই সময়গুলো বদলে গিয়েছে। ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা অংশীদার হওয়ার জন্য আমাদের ইচ্ছা ও ক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি বদলেছে। এটি একটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যা গত ২৫ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে গভীর হয়েছে।’
এর আগে জো বাইডেন ভারত প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ভারত বাদে কোয়াড রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে ভারত কিছুটা নড়বড়ে। কিন্তু পুতিনের আগ্রাসন মোকাবিলার ক্ষেত্রে জাপান অত্যন্ত শক্তিশালী পদক্ষেপ করেছে। অস্ট্রেলিয়াও বেশ কঠোর পদক্ষেপ করেছে।’ ল্লেখ্য, আমেরিকা সম্প্রতি রাশিয়ার তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর এরই মাঝে ভারত রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কিনতে চলেছে। এই নিয়ে আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। আমেরিকা চেয়েছিল যাতে ভারত রাশিয়ার থেকে তেল না কেনে। তবে ভারত নিজেদের স্বাধীন বিদেশ নীতির অন্তর্গত আমেরিকার দ্বারা এই ক্ষেত্রে প্রভাবিত হয়নি। এর আগে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কেনা নিয়েও আমেরিকা ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। তবে তাতেও ভারত মাথা নত করেনি। এই আবহে বাইডেনের গলায় অসন্তোষ ঝরে পড়ে। তবে দ্রুত সেই সুর বদলাল ওয়াশিংটন।