পৃথিবীর নানা প্রান্তে আবার দ্রুত গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আবার নতুন করে ভয় পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ এবার করোনা সংক্রমণ এমন কতগুলি দেশে বাড়ছে, যেখানে টিকাকরণ ব্যাপক মাত্রায় হয়েছে। তাহলে কি এর পরে ভারতেও আছড়ে পড়বে কোভিডের পরের ঢেউ?
এমন কথা বলছেন না বিজ্ঞানীরা। অনেকের মতেই, ভারতে আর করোনার ঢেউ আছড়ে পড়ার কোনও আশঙ্কা নেই। করোনা সংক্রমণ হয়তো পুরোপুরি চলে যাবে না। কিন্তু ভয়াবহ আকার নেবেন না এই সংক্রমণের হার।
করোনার নতুন ঢেউ কোথায় বেশি দেখা যাচ্ছে?
ইতিমধ্যেই হংকং, চিন-সহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতেও ব্যাপক হারে বাড়ছে করোনা। তাছাড়া আফ্রিকার বেশ কিছু জায়গায় এখন করোনা সংক্রমণ মারাত্মক হারে বাড়ছে। ভয় বাড়ছে ইউরোপের বেশ কিছু দেশে। আমেরিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রধানরা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, পরিস্থিতি জটিল হলে, আবার লকডাউন এবং বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। তাছাড়া ইউক্রেন এবং রাশিয়ার বিবাদের কারণে ওই এলাকাতেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার।
করোনার নতুন ঢেউয়ের জন্য দায়ী কোন রূপ?
এখনও পর্যন্ত যত পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে, তাতে যত জায়গায় করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে, তার সব জায়গাতেই নতুন ওমিক্রন, অর্থাৎ ওমিক্রন BA.2 রূপটি এই নতুন করে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
Omicron BA.2 কতটা ভয়ের?
বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছিলেন, এই নতুন ওমিক্রন আগেরটির থেকে বেশি ভয়ের হয়ে উঠতে পারে। কারণ এর সংক্রমণের হার বেশি। তাছাড়া টিকা এর বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়েও সন্দেহ ছিল। পাশাপাশি এটি গলার চেয়ে ফুসফুসে বেশি সংক্রমণ ঘটিয়েছে।
ভারতে করোনা বাড়াবাড়ির আশঙ্কা কম কেন?
ভারতে আর করোনার ঢেউ আসবে না। তার কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দেশে ওমিক্রনর বিপুল সংক্রমণের কারণেই এটি হয়েছে। দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পাশাপাশি দেশে টিকাকরণের হারও বেশি। এর ফলে এ দেশের মানুষ ওমিক্রনে আর বেশি ধরাশায়ী হবেন না। সংক্রমিত হলেও খুব বেশি ঝামেলায় পড়তে হবে না এখানকার মানুষকে। তাই আর আসবে না করোনার ঢেউ।