সিটির বিরুদ্ধে ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বিতে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি। একতরফাভাবে ডার্বি হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ইউনাইটেডকে। টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে প্রিমিয়র লিগের ঠিক পরের ম্যাচেই মাঠে ফিরলেন সিআর সেভেন। দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে বিশ্বরেকর্ড গড়ে দলকে জয় এনে দিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করার পথে রোনাল্ডো এমন এক রেকর্ড গড়েন, যা ফুটবলবিশ্বের আর কারও নেই। ফিফার রেকর্ড অনুযায়ী ক্লাব ও দেশ মিলিয়ে পেশাদার কেরিয়ারে সব থেকে বেশি গোল করার বিশ্বরেকর্ড এখন রোনাল্ডোর দখলে। তিনি ভেঙে দিলেন অস্ট্রিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের হয়ে মাঠে নামা জোসেফ বিকানের নজির। বিকানের খাতায় ছিল ৮০৫টি গোল। টটেনহ্যাম ম্যাচের পর রোনাল্ডোর সংগ্রহে রয়েছে ৮০৭টি গোল।
ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় ফ্রেডের পাস থেকে প্রথম গোল করেন রোনাল্ডো। ৩৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে টটেনহ্যামকে সমতায় ফেরান হ্যারি কেন। ৩৮ মিনিটে স্যাঞ্চোর পাস থেকে ফের গোল করে ইউনাইটেডকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ক্রিশ্চিয়ানো। ৭২ মিনিটে মাগুইর নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে বসায় ম্যাচ ২-২ গোলের সমতায় দাঁড়িয়ে যায়। ৮১ মিনিটে অ্যালেক্সের পাস থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন রোনাল্ডো, সেই সঙ্গে ৩-২ গোলে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
একা রোনাল্ডোর কাছেই এটি স্মরণীয় ম্যাচ হয়ে থাকে এমন নয়, বরং ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডেরও এটি মাইলস্টোনসূচক জয়। ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এটি ইউনাইটেডের ৪০০তম প্রিমিয়র লিগের ম্যাচ জয়ের নজির।
এই জয়ের ফলে ২৯ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের চার নম্বরে উঠে আসে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। তারা পিছনে ফেলে দেয় আর্সেনালকে। ২৫ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে নেমে যায় আর্সেনাল। ২৮ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে রয়েছে ম্যান সিটি। টটেনহ্যাম ২৭ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে ৭ নম্বরে অবস্থান করছে।