উত্তরপ্রদেশের ফলাফল যেদিকে যায় সেদিকেই নির্ভর করে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট। কারণ এই রাজ্যই সর্ববৃহৎ আসন নিয়ে গঠিত। সেখানে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে ২৫০ আসনের বেশি নিয়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ১২৫টি আসনে এগিয়ে আছে সমাজবাদী পার্টি। অর্থাৎ বিজেপি উত্তরপ্রদেশে সরকার গঠন করতে চলেছে। এই ফলাফলের নিরিখে বিজেপি কিন্তু একধাপ এগিয়ে গেল লোকসভা নির্বাচনের দিকেও।
এথানে আরও একটি বিষয় হল, পাঞ্জাব বাদ দিলে মণিপুর, গোয়া এবং উত্তরাখণ্ডে তাদের ফলাফল ভাল। সেক্ষেত্রে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে আবার গেরুয়া বিস্তার লাভ করল। সুতরাং বিরোধীরা কোথাও খুব একটা খাপ খুলতে পারেনি। গেরুয়া ঝড়ে এখন অনেকটা নিশ্চিন্ত যোগী–মোদী। এই ফলাফলই প্রভাব ফেলবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে যে কেন্দ্রগুলির উপরে বিশেষ নজর ছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল হাথরস ও লখিমপুর। একদিকে, হাথরসের ধর্ষণকাণ্ডে যেমন যোগী প্রশাসনের উপরে প্রশ্ন উঠেছিল, তেমনই আবার লখিমপুর খেরিতে গাড়ি চাপা পড়ে কৃষক মৃত্যু নিয়েও গোটা দেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। কিন্তু তারপরেও কোনও প্রভাব পড়েনি। লখিমপুরের ৮টি আসনের মধ্যে ৬টিতেই এগিয়ে বিজেপি।
এই পরিস্থিতিতে ভেসে উঠল টুইট। উত্তরপ্রদেশ বিজেপি ফিরছে বুঝতে পেরেই টুইট করলেন উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। তিনি লিখলেন, ‘মানুষ জিতছে, হার মানছে গুন্ডামি।’ এখন প্রশ্ন এতকিছুর পরও কেন উত্তরপ্রদেশ বিজেপির? এখানে তিনটি বিষয় ভাল কাজ করেছে। এক, লকডাউনের সময় বিনামূল্যে রেশন। দুই, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের এখানে বাস্তবায়ন এবং তিন, মন্দির–মসজিদের রাজনীতি অর্থাৎ হিন্দুত্বের তাস। এইসব মিলিয়ে বিজেপি দ্বিতীয়বার পাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ। বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপির দিকে পাল্লা ভারী দেখা গিয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশের সবথেকে বড় রাজ্য হওয়ায় এখানের জনমতই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পড়ে থাকে। তাই এটাই এখন থেকে প্রজেক্ট করা হবে।