ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে কড় পদক্ষেপ মার্কিন প্রশাসনের। দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনের উপর রুশ আগ্রাসন ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে এই পদক্ষেপের জেরে রাশিয়ার পাশাপাশি গোটা বিশ্বকেই ভুগতে হতে পারে।
বিশ্ব বাজারে জ্বালানির মূল্য এমনিতেই বেড়ে চলেছে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে। ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে দামী হয়েছে অপরিশোধিত তেল। এই পরিস্থিতিতে রুশ তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে তেলের দাম আরও বাড়তে পারে। আর এর জেরে আমেরিকা সহ গোটা বিশ্ব সমস্যায় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এই আশঙ্কার জেরেই এতদিন ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছিলেন বাইডেন। তবে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে মার্কিন কংগ্রেস থেকে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল বাইডেনের উপর। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চাপ এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বৃদ্ধির জেরে তাই এবার কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হলেন জো বাইডেন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
মঙ্গলবার রাতে বাইডেন ঘোষণা করেন, ‘আজ আমি ঘোষণা করছি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার অর্থনীতির প্রধান ধমনীকে টার্গেট করছে। আমরা রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও জ্বালানির সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করছি। তার মানে মার্কিন বন্দরে রাশিয়ার তেল আর গ্রহণযোগ্য হবে না। আমেরিকান জনগণ (ভ্লাদিমির) পুতিনের যুদ্ধের মেশিনে আরও একটি শক্তিশালী ধাক্কা দেবে।’ তবে বাইডেন এও বলেন যে, এটা তাঁর কাছে বোধগম্য যে রাশিয়ার তেল নিষিদ্ধ করার মার্কিন পদক্ষেপের সাথে অনেক ইউরোপীয় দেশই যোগ দিতে পারবে না। কারণ আমেরিকায় যত তেল উত্পাদন হয়, তত তেল ইউরোপীয় দেশগুলিতে উত্পাদিত হয় না। তবে দীর্ঘ মেয়াদে রাশিয়ার তেলের উপর নির্ভরশীলতা কমানো নিয়ে ইউরোপের দেশগুলির সাথে আলোচনা চলছে বলে জানান বাইডেন।