বাজেট অধিবেশন শুরুর দিনই ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধেছিল রাজ্য বিধানসভায়। বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভের জেরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল বিধানসভা কক্ষ। অধিবেশন শুরুর আগে নিজের বক্তব্য পেশ করতে পারছিলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই সময় তিনি একাধিকবার অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চান। তবে তাঁকে আটকেছিলেন তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জোড় হাতে রাজ্যপালকে ভাষণ পাঠের অনুরোধ জানিয়েছিলেন যাতে অধইবেশন শুরু করা যায়। ‘সাংবিধানিক সঙ্কট’ হতে না দিয়ে শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালও পাঠ করেন ভাষণের কয়েকটি লাইন। তাতেই অবশ্য অধিবেশনের সূচনা হয়। তবে সেদিনের ঘটনা নিয়ে এবার বিধানসভার অধ্যক্ষকে তলব করলেন রাজ্যপাল। যদিও এর প্রেক্ষিতে স্পিকার সাফ জানিয়েছেন যে তিনি অধিবেশন নিয়ে ব্যস্ত, তাই এখন তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।
ধনখড় অভিযোগ করেছেন যে তাঁর সাথে কৌশলে যে আচরণ করা হয়েছে, তা লিখে বর্ণনা করা যায় না। রাজ্যপালের অভিযোগ, বিধানসভায় তাঁকে শারীরিক ও মৌখিকভাবে বাধা দিয়েছেন শাসকদলের মহিলা সদস্যরা। এদিকে রাজ্যপাল অধিবেশন কক্ষ ছাড়ার পরে মমতা রাজ্যপাল ও বিজেপিকে একসঙ্গে বিঁধেছিলেন সেদিন। মমতা অভিযোগ করেছিলেন, ‘রাজ্যপালের উপর হয়ত বা চাপ ছিল যাতে তিনি ভাষণ পাঠ না করেন। আমি জানি না, এর মধ্যে (বিজেপির বিক্ষোভ ও রাজ্যপালের ভাষণ পাঠ না করা) কোনও যোগ রয়েছে কি না…’। মমতা স্পষ্ট ইঙ্গিত করেন যে রাজ্যপাল ও বিজেপির আঁতাতেই এই পরিস্থিতিত তৈরি হয়ে থাকতে পারে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এই আবহে রাজ্যপাল স্পিকারকে চিঠি লিখে বলেন, ‘এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও বিধায়করা কার্যত রাজ্যপালকে ‘ঘেরাও’ করে রেখেছিলেন। এতে করে তাঁকে এতটা কষ্ট পেতে হয় যা লিখে বর্ণনা করা যায় না, যা হজম করা যায় না। এটা আসলেই অস্বাভাবিক যে ক্ষমতাসীন দল কার্যধারা স্থগিত করবে।’ চিঠিতে আরও লেখা হয়, ‘গণতন্ত্রের মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে। রাজ্যে এর আগে কখনও এরমটা হয়নি। এর জন্য আত্মদর্শন ছাড়াও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপের প্রয়োজন। আমাদের শেষ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে হবে, যাতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলির অবজ্ঞা না হয়। তা যাতে বিপর্যস্ত এবং পদদলিত না হয়।’