নর্থ অ্যাটলান্টিক ট্রিটি অর্গনাইজেশন বা ন্যাটেতে অনর্ভুক্ত হতে চেয়েই রাশিয়ার রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল ইউক্রেনকে। এরপর থেকে যুদ্ধ চলাকালীন একাধিকবার ন্যাটোর কাছে বিভিন্ন দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আকাশ পথে যাতে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে হামলা চালাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে ন্যাটোর কাছে বারংবার আবেদন জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তবে সেটা করলে ন্যাটো সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়ত, আর তাই ন্যাটো ইউক্রেনকে সমর্থন জানালেও তাদের ‘নো ফ্লাই জোনে’র দাবি মানেনি। এই আবহে ন্যাটোর কাছে যুদ্ধবিমান চেয়েও ফল পায়নি ইউক্রেন। আর তাতেই তিতিবিরক্ত জেলেনস্কি বড় ঘোষণা করলেন। তিনি জানিয়ে দিলেন তিনি আর ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন না।
এদিকে মনে করা হচ্ছে, ইউক্রেনের এই ঘোষণায় আক্রমণ থামাতে পারে রাশিয়া। জেলেনস্কি এদিন বলেন, ‘ইউক্রেনকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয় ন্যাটো। রাশিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি হতে চায় না তারা। তাছাড়া আরও একাধিক বিতর্কিত বিষয়ে এই জোট ভীত। এর জেরে তারা এই সংঘর্ষের আবহে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমন দেশের প্রেসিডেন্ট হতে চাই না যারা কোনও কিছু পাওয়ার জন্য হাঁটু গেড়ে ভিক্ষা চাইবে।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই ন্যাটোর কাছে ইউক্রেন আবেদন জানিয়ে আসে আকাশ পথে রাশিয়ার হামলা ঠেকায় ন্যাটো। তবে ন্যাটো এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তবে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার বার্তা দিয়েছিল। পোল্যান্ড ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহ করার বার্তা দিয়েছিল। তবে রাশিয়ার ‘হুঁশিয়ারির’ পর ন্যাটোভুক্ত এই দেশ পিছু হটে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সাথেও আলোচনায় বসে ইউক্রেন। এই সবকিছুর মাঝে মঙ্গলবার জেলেনস্কি জানান, তিনি এখনও আর ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আগ্রহী নন।