এই সুড়ঙ্গেই লুকিয়ে ছিলেন ভগৎ সিং ও বর্ধমানের ভূমিপুত্র বটুকেশ্বর দত্ত

র্ধমানের ভূমিপুত্র বটুকেশ্বর দত্ত। সম্প্রতি যাঁর নামে বর্ধমান স্টেশনের নামকরণ হওয়ার কথা উঠেছে। বর্ধমানের বিশিষ্টরা বলছেন, তারপর থেকেই নাকি ভগৎ সিংয়ের সহযোদ্ধা এই বিপ্লবীর নাম সবার মুখে মুখে ফিরছে। এর আগে নাকি, বটুকেশ্বর দত্ত কে? সে প্রশ্নে খোঁজ ছিল না কারো! এখন সারা ভারত জানে তার কথা।

বর্ধমানে জন্ম হলেও বটুকেশ্বর বেড়ে উঠেছিলেন উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। কিন্তু কেন এতদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন এই বিপ্লবী? কেমন আছে বর্ধমানে তাঁর জন্মভিটে?

বর্তমান পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের ওয়াড়ি গ্রামে জন্ম বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের। ১৯১০ সালের ১৮ নভেম্বর জন্ম বিপ্লবীর। রেলে চাকরি সূত্রে, বাবা গোষ্ঠবিহারী দত্ত কানপুরে বাস করায় তাঁর বাল্যশিক্ষা সেখানেই। কানপুরেই গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থীর জাতীয়তাবাদী পত্রিকা ‘প্রতাপ’-এর সঙ্গে যুক্ত হন ভগত সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত। তখন থেকেই ধীরে ধীরে দুজনের সহযোদ্ধা হয়ে ওঠা। এরপর ভগত সিং লাহোরে তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার স্যান্ডারশনের অত্যাচার শেষ করতে তাকে মারার দায়িত্ব দেন বটুকেশ্বরকে। কাজে সফল হলে দিল্লির সংসদে জনবিরোধী বিলের বিরুদ্ধে বোমা নিক্ষেপ করেন।

এর মাঝেই গা ঢাকা দিতে জন্মভিটেয় চলে আসেন তারা। পাশেই এক পড়শির বাড়ির সুরঙ্গতে টানা ১৫দিন আত্মগোপন করেন। ১৯২৯ সালের জুন নিয়মিত বিচার শুরু হয় ভগৎ ও বটুকেশ্বরের বিরুদ্ধে। ১৯৩১-এর ২৩ মার্চ ভগৎ সিংয়ের ফাসি হয়। ১৯৩৩ সালে আন্দামানের সলু্লার জেলে বটুকেশ্বরকে দ্বীপান্তরিত করা হয়। ১৯৬৫ সালের ২০ জুলাই মৃত্যু হয় বটুকেশ্বর দত্তের।

কিন্তু মৃত্যুর এত বছর পরেও জন্মস্মৃতি বুকে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিপ্লবীর ভিটে। বর্ধমান শহর থেকে বাঁকুড়া মোড়ের দিকে গেলে পড়বে খেজুরহাটি গ্রাম। সেখান থেকে বটুকেশ্বর দত্ত সরণী দিয়ে পৌছে যাওয়া যাবে পশ্চিম ওয়ারি গ্রামে। সেখানেই বটুকেশ্বরের জন্মভিটেকে সংরক্ষণষকরে রেখেছেন বটুকেশ্বর দত্ত স্মৃতি রাখা কমিটির সদস্যরা। দোতলা মাটির বাড়ি এখনও রয়েছে। তৈরি হয়েছে মিউজিয়ামও। সেখানেই রয়েছে যাত্রীনিবাস। জন্মভিটের পাশের মাঠে বিপ্লবীর স্মরণে বসে মেলাও। বিপ্লবীর আত্মগোপন করা সুরঙ্গটি রয়েছে পড়শী প্রণব ঘোষের বাড়িতে। প্রায় ৮৫ লাখ টাকা খরচ করে বিপ্লবীর স্মৃতি রক্ষা করে চলেছে রাজ্য সরকার।

#BhaagaanWala_BhagatSingh #भागांवालाभगत_सिंह

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.