বিনা প্ররোচনায় চলছে মুহুর্মুহু গোলা বর্ষণ। পর পর ইমারত ধ্বংসের সঙ্গেই নিমেষে শেষ হচ্ছে প্রাণ। বৃদ্ধ থেকে শিশু কেউ বাদ যাচ্ছেনা যুদ্ধের আগুন থেকে। ইউক্রেনের নীল আকাশ ছেয়েছে যুদ্ধের কালো ধোঁয়ায়, এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার যুদ্ধ অপরাধের বিচারের পথে এগিয়ে চলেছে আন্তর্জাতিক আদালত। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবর। আন্তর্জাতিক অপরাধ সংক্রান্ত আদালতের মুখ্য প্রসিকিউটার জানিয়েছেন, খুব শিগগিরিই শুরু হবে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের বিচার। ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে ৩৯ টি দেশের সমর্থন এসে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, ইউরোপিয় ইউনিয়নের সমস্ত দেশ রয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ব্রিটেন, কানাডা জানিয়েছে সমর্থন। সমর্থন জানিয়েছে সুইৎজারল্যান্ডও। এছাড়াও ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কিছু দেশও জানিয়েছে সমর্থন। ফলে এই মোট ৩৯ টি দেশের সমর্থনে রাশিয়া যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হতে চলেছে। মুখ্য প্রসিকিউটার করিম খান জানিয়েছেন, ‘ আমি আইসিসি প্রেসিডেন্সিকে কিছুক্ষণ আগেই জানিয়েছি, পরিস্থিতি নিয়ে তদন্তের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া নিয়ে আমার সিদ্ধান্তের কথা।’ তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন , ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তদন্তের স্বার্থে প্রমাণ খোঁজার পদক্ষেপ। ফলে তদন্ত ও তারপর বিচার খুব একটা দূর অস্ত নয়।
উল্লেখ্য, সোমবারই করিম খান জানিয়েছেন যে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি তদন্তের পথে ভাবনা এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছেন। তিনি জানান যে, তিনি বিশ্বাস করেন যে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করার পক্ষে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেই ব্রিটেনের প্রাইমমিনিস্টার বরিস জনসন জানিয়েছেন যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘ভ্লাদিমির পুতিন’ যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত। এই একই অভিযোগ ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলদিমির জেলেন্সস্কিও করেছিলেন। কার্যত সেই সুুরেই এককাট্টা গোটা ইউরোপ।