ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডের মেডিকা সীমান্তে আসা বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস৷ পাশাপাশি পোল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও স্বদেশিদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন৷
ইউক্রেন থেকে মেডিকা সীমান্ত পেরিয়ে এলে সড়কের পাশেই রয়েছে একটি বাস, যার সামনের গ্লাসে বাংলাদেশের দূতাবাসের নাম ও লোগো লাগানো রয়েছে৷ পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস এই বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে৷ সেখানে তাদের খাবারসহ বিভিন্ন কিছু সরবরাহ করা হয়।
মঙ্গলবার সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা অনির্বাণ নিয়োগী৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘আমাদের কয়েকটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে৷ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগতভাবে সবাই আমাকে জানাচ্ছেন৷ মোবাইলে যখনই আমরা তথ্য পাচ্ছি কারো সহায়তা দরকার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আমরা নিজেরাই যাচ্ছি বা রিসোর্স মোবিলাইজ করছি৷’
বাসে আশ্রয় নেওয়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুসময় সরকার বলেন, ‘সীমান্ত ক্রস করার পর আমি জানতে পেরেছি এমন একটি ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এখন আপাতত আমি ওয়ারশো যাব৷ ওখানে গিয়ে বিশ্রাম নিয়ে পরে পরিকল্পনা করব কোথায় যাব৷’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও কয়েকজন বাংলাদেশি ছিলেন৷ তাঁরা এর আগেই পার হয়েছেন৷ আজকে এই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ২০-২৫ জন পার হতে পেরেছেন৷’
বাসে থাকা বাংলাদেশিরা সীমান্তের ইউক্রেন অংশে ভোগান্তির কথা বর্ণনা করেন৷ কয়েকজন জানান ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠান্ডার মধ্যে তাঁদের দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে৷
এদিকে পোল্যান্ডে অবস্থানরত প্রবাসীরাও বাংলাদেশিরাও ইউক্রেন থেকে আসা স্বদেশিদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন৷ মেডিকা সীমান্তে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দূতাবাসের দলের সঙ্গে কাজ করছেন তাঁরা৷ হামিম নামের একজন জানান, তিনি ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে খাবার, জল নিয়ে এসেছেন৷ পাশাপাশি অনেক বাংলাদেশিও ব্যক্তি উদ্যোগে তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করছেন৷ এমন ২৫ থেকে ৩০ জন বাংলাদেশি পোল্যান্ডের প্রবাসীদের আশ্রয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন অপর একজন৷ এদিকে ওয়ারশোতেও বাংলাদেশিদের থাকার ব্যবস্থা করেছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)