Ranji Trophy: শেষ ওভারে ঝাড়খণ্ডকে জেতালেন KKR তারকা, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১৫ রানে হার দিল্লির

দরকার ছিল ৪৬ রান। হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। সেখান থেকে পরপর উইকেট হারিয়ে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ১৫ রানে হেরে গেল দিল্লি। তাও কিনা শেষ ওভারে সেই ম্যাচ খোয়াতে হল যশ ধুলদের। তার ফলে এবারের রঞ্জি ট্রফি থেকে কার্যত ছিটকে গেল দিল্লি।

গুয়াহাটিতে কার্যত মরণবাঁচন ম্যাচে প্রথম ইনিংসে লিড হজম করেছিল দিল্লি। সেই অবস্থায় দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় রান তোলে ঝাড়খণ্ড। সাত উইকেটে ৩০৭ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে দেন বিরাট সিংরা। জয়ের জন্য দিল্লির প্রয়োজন ছিল ৩৩৫ রান। ধুল, নীতিশ রানাদের মতো খেলোয়াড়রা ব্যর্থ হলেও দিল্লিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ধ্রুব শোরে। শতরানও হাঁকান। তাঁকে সঙ্গ দিতে থাকেন জন্টি সিধু। একটা সময় মনে হচ্ছিল, দিল্লি জিতে যাবে। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

কিন্তু ৫৫.৩ ওভারে শাহবাজ নাদিমের একটা বলেই ম্যাচে প্রবলভাবে ফিরে আসে ঝাড়খণ্ড। ১৭৭ বলে ১৩৬ রান করে আউট হয়ে যান ধ্রুব। সেইসময় জয়ের জন্য দিল্লির দরকার ছিল ৭৮ রান। তবুও ম্যাচ থেকে পুরো ছিটকে যায়নি দিল্লি। জন্টি যতক্ষণ ছিলেন, ততক্ষণ দিল্লির পাল্লা ভারী ছিল। কিন্তু সেই নাদিমই ফিরিয়ে দেন জন্টিকে। সেই সময় দিল্লির স্কোর ছিল ছয় উইকেটে ২৮৯ রান। ফলে জয়ের জন্য ৪৬ রান দরকার ছিল। হাতে ছিল চার উইকেট। জমে ওঠে ম্যাচ। পরপর উইকেট হারাতে থাকে দিল্লি।

তবে সময়ও কমে আসতে থাকে। দিনের শেষ ওভারে জয়ের জন্য ঝাড়খণ্ডের দরকার ছিল এক উইকেট। অন্যদিকে ছ’টি বল খেলে দিলে এক পয়েন্ট পেত দিল্লি। তাতে বড়সড় লাভ কিছু না হলেও রঞ্জিতে টিকে থাকার সম্ভাবনা কিছুটা বাড়ত। কিন্তু সেই অবস্থায় চতুর্থ বলে আউট হয়ে যান প্রদীপ সাঙ্গওয়ান। উদ্ভটভাবে ক্রিজের বাইরে বেরিয়ে আসেন তিনি। স্টাম্প করতে কোনও ভুল করেননি ঝাড়খণ্ডের উইকেটকিপার। শেষ উইকেট নিয়ে ঝাড়খণ্ডকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) তারকা অনুকূল রায়।

ম্যাচের সেরা কে হলেন?

ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন নাদিম। যিনি দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন। অন্যদিকে, দুই ইনিংস মিলিয়ে কেকেআরের অনুকূল নিয়েছেন চার উইকেট। তবে কেকেআরের অপর তারকা রানা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ১৭ বলে মাত্র ১৬ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অবদান মাত্র এক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.