বহরমপুর বাসী রাই পারেন সেই প্রচলিত মিথ কে মিথ্যা প্রমাণ করতে। কলকাতায় সুখের চাকরি, নিশ্চিন্ত জীবনকে ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে নিজের জন্মভিটায় ফিরে গিয়ে রাজনীতি করতে দেখার প্রথম দিন থেকে আপ্লুত ছিলাম অনির্বাণ পিট্টু বিশ্বাস কে নিয়ে।
রাজনীতি খারাপ বলে সো কল্ড শিক্ষিত যুব সমাজ মুখ ফিরিয়ে বসে থেকে বেসিক্যালি কাজের কাজ কিছুই না করেই ( সমাজের জন্য), কোনো না কোনো ইস্যু তে দেশের নেতাদের মুন্ডুপাত করে কিন্তু নিজের মতো করে ইনিশিয়েটিভ কতোজন নেয়? আসলে সেই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছু করার দম টাই ধরতে পারে না, এইটা পাতি বাস্তব, সেটা কেই মানুক বা না মানুক!
পিট্টুদার সাথে বন্ধুবৃত্তে আসার পর বহুবার একসাথে সময় কাটিয়েছি, অনেক অনেক আলোচনা হয়েছে, বিভিন্ন বিষয়ে অসাধারণ জ্ঞান, নিঃস্বার্থ ভাবে বহু সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা, কারোর বিপদে এক ফোনেই পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ফিদা হয়ে গেছি। তাই বলছি বহরমপুর বাসী দের কাছে বিরাট সুযোগ রাজনীতি তে ভালো লোক আসেনা এই মিথ টাকে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়ার। যুব সমাজ আর শিক্ষিত সমাজ ভবিষ্যতে পিট্টু দার মতো মানুষের থেকে সত্যিকারের মতো সমাজের উপকার করার অনুপ্রেরণা পাবে।
রবিবার সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয়েছে বহরমপুর পুরসভার নির্বাচন। ভোটের শুরু থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি সামনে আসছে। বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এবং যথারীতি শাসক দলের গুণ্ডারা প্রার্থীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে বলে অভিযোগ। ভোটারদের একাংশ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁদেরও অভিযোগ, সকাল থেকেই অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। বুথের ভিতর যারা ঢুকছে তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এর জেরে অনেকেই ভোট না দিয়েই ফিরে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ। নির্বাচন কমিশন কেবলমাত্র জগদ্দল পাথর হয়ে কেন বসে? কোর্টের বলার পরেও কেন বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের কোনো সুরক্ষা নেই?