ভারতের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক বিগত কিছু বছরে ভালো হয়েছে। তবে রাশিয়ার সাথে ভারতের বন্ধুত্ব বহু পুরোনো। এই আবহে ইউক্রেনের উপর রুশ বাহিনীর হামলার প্রেক্ষিতে ভারতের অবস্থান ‘নিরপেক্ষ’। রাষ্ট্রসংঘে হিংসার নিন্দা জানালেও সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করেনি ভারত। বরং হিংসা বন্ধের আর্জি জানিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকার আনা ‘নিন্দা প্রস্তাবে’ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে ভারত। এই পরিস্থিতিতে এবার নয়া দিল্লিকে বার্তা পাঠাল ওয়াশিংটন ডিসি।
আমেরিকার তরফে বলা হয়েছে, ভারতের সাথে রাশিয়ার যে সম্পর্ক রয়েছে, তা আমরা জানি। আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্কের থেকে যে তা আলাদা, তাও মানা হয়েছে। এই আবহে আমেরিকার আবেদন, ভারত যাতে রাশিয়ার সাথে তার সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে ‘আন্তর্জাতিক আইন’ বলবত্ করতে সাহায্য করে। আমেরিকার বক্তব্য, এই আন্তর্জাতিক আইনই বিগত ৭০ বছর ধরে আমেরিকা, ভারত, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এমনকি রাশিয়াকেও সাহায্য করেছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ভারতের অবস্থান প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তখন তিনি জানিয়েছিলেন যে আলোচনা জারি আছে। যার অর্থ, ভারত এখনও আমেরিকার সাথে পুরোপুরি সহমত নয় বর্তমান পরিস্থিতিতে। পরে সেই রাতেই মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ব্লিঙ্কেন ‘শক্তিশালী যৌথ প্রতিক্রিয়া’-র প্রয়োজনীয়তার রূপরেখা দিয়েছিলেন সেদিন। তবে তারপরও রাষ্ট্রসংঘে ভারত আমেরিকার আনা রুশ বিরোধী প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি।
এই পরিস্থিতিতে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কে চিড় ধরেছে কি না প্রশ্ন করা হলে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানান, ভারতের সাথে আমেরিকার বৃহত্তর কৌশলগত জোট রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে এমন সম্পর্ক রয়েছে যা আমাদের নেই। তা ঠিকই আছে। এই আবহে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক রয়েছে এমন প্রত্যেকটি দেশকে আমরা বলেছি যাতে তারা তাদের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তা গঠনমূলক উপায়ে ব্যবহার করে।’