ইউক্রেন ‘যুদ্ধে’ কোনও পক্ষকেই সম্পূর্ণ সমর্থন জোগায়নি ভারত। বরং রাশিয়া এবং আমেরিকার গোষ্ঠীর মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলেছে নয়াদিল্লি। সেই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট করে দিলেন, ভারতের সঙ্গে মতপার্থক্য এখনও পুরোপুরি মেটেনি।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকের সময় বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমেরিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ‘বন্ধু’ দেশ ভারত কী ইউক্রেনের ‘যুদ্ধ’ নিয়ে ওয়াশিংটনের অবস্থানকে সমর্থন করছে। সেই প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে আজ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। পুরোপুরি সেই বিষয়ের সমাধান হয়নি।’
এমনিতে রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক দিক থেকে প্রবল চাপে আছে ভারত। বেশি এগোলেও বিপদ। বেশি পিছিয়ে গেলেও বিপদ। কারণ রাশিয়াকে পুরোপুরি সমর্থন করলে চটে যাবে আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশ। যা ভারতের প্রতিরক্ষা, সুরক্ষা, বাণিজ্য ক্ষেত্রে বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। ধাক্কা খেতে পারে দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংকে রুখতে গড়ে ওঠা কোয়াড। সঙ্গে গায়ে লাগবে যুদ্ধের পৃষ্ঠপোষকের তকমা। আবার আমেরিকাকে পুরোপুরি সমর্থন করলে চটে যাবে ক্রেমলিন। বিশেষত ভারতের দুই প্রতিবেশী পাকিস্তান এবং চিন ভ্লাদিমির পুতিনদের ‘পাশে’ দাঁড়িয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে ভারসাম্যের কূটনীতি বেছে নিয়েছে নয়াদিল্লি। কূটনৈতিকভাবে এবং আলোচনার মাধ্যমে পুরো রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতের সওয়াল করেছে। সরাসরি সমালোচনা করেনি রাশিয়ার। ভারতের সেই ‘স্বাধীন অবস্থানকে’ স্বাগতও জানিয়েছে মস্কো।
ওয়াশিংটনের একাংশের বক্তব্য, ভারতের ভারসাম্যের অবস্থানে কিছুটা নারাজ বাইডেনরা। তাই ফুটে উঠেছে বাইডেনের গলায়। তবে গত সপ্তাহে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নেড প্রাইস দাবি করেছিলেন, অন্য কোনও বিষয়ের উপর ভারত এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নির্ভর করে না।