কোভিড ঘিরে বিধি নিষেধ থেকে ক্রমেই বিভিন্ন দেশে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এভাবে বিধিতে শিথিলতা বিপদও ডেকে আনতে পারে ভবিষ্যতে। কারণ হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন বিএ.২। কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের এই সাব ভ্যারিয়েন্টের তড়িত গতিতে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ইতিমধ্যেই সাবধান করেছেন বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, কোভিডের জেরে সবচেয়ে বিধ্বস্ত দেশ এই মুহূর্তে ভারত ও আমেরিকা। আর এই দুই দেশেই কোভিড বিধি খানিকটা শিথিল হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকায় ধীরে ধীরে ওমিক্রনের তীব্রতা বাড়ছে। গত মাসের তুলনায় সেখানে চলতি মাসে ওমিক্রন বিএ.২ এর কেস বেড়েছে। কোভিডের আসল ভ্যারিয়েন্টেরে চেয়েই সাব ভ্যারিয়েন্ট ৩০ শতাংশ দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই দাবি করেছে এক গবেষণা, যা প্রকাশিত হয়েছে ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওতে। ওমিক্রন নির্ভর কোভিডের দ্বিতীয় স্রোত ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়তে শুরু করেছে। আর তার মূল হোথা সাবভ্যারিয়েন্ট বিএ.২। ইতিমধ্যেই এই সাবভ্যারিয়েন্ট হানা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে। একইভাবে এই ওমিক্রনের নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও ব্যাপকভাবে উদ্বেগে রাখতে শুরু করেছে। সেখানে সংক্রমণের ৩.৯ শতাংশ আপাতত এই সাব ভ্যারিয়েন্টের কেস বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে নেচার পত্রিকায় উঠে এসেছে আরও একটি গবেষণার তথ্য। সেখানে কোভিডের প্রভাবে স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। গবেষণায় দেওয়া তথ্যে বলা হচ্ছে যে, কোভিডের ফলে ক্রমাগত বাড়ছে হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কার্ডিওভ্যাসকুলার ইস্যুতে কোভিড পরবর্তী সময়ে বহু রোগীই নানান স্বাস্থ্য জটিলতার মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন। তথ্যের নিরিখে দেখা যাচ্ছে, ধীরে ধীরে কার্ডিওভ্যাসকুলার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে আসন্ন সময়ে। ১৫৩,০০০ বর্ষীয়ান আমেরিকানের কোভিড পরবর্তী সময়ে হৃদরোগজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে। গবেষণার আশঙ্কা, আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যায় বেড়ে যেতে পারে কোভিডের জেরে হৃদরোগ সংক্রান্ত জটিলতা। সাম্প্রতিককালে একটি জাপানিজ ল্যাবরেটরিতে হওয়া গবেষণা জানাচ্ছে, ওমিক্রন বিএ.২ আরও বেশি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে যেমন তেমনই এই সাব ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশি গুরুতর শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। এই গবেষণাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। এই সাবভ্যারিয়েন্ট ইঁদুরের মতো প্রাণীর দেহে বড় বিপর্যয় ঘটাতে পারে কি না, তা নিয়ে বাকি রয়েছে এখনও বহু খোঁজ।