বিভিন্ন দেশের মতোই ভারতেও চলছে বুস্টার টিকা দেওয়ার কাজ। মানে, কোভিডের তৃতীয় টিকা। কেউ কেউ বলছেন, এর পরে চতুর্থ টিকা অর্থাৎ দ্বিতীয় বুস্টারও নিতে হবে। কথাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত?
বর্তমানে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, বয়স্ক ব্যক্তিদের বুস্টার দেওয়া শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে যারা, তাদের টিকা দেওয়ার কাজও। ভবিষ্যতে তাদেরও বুস্টার টিকা দেওয়া হবে বলেও ধারণা অনেকের। কিন্তু এভাবেই কি বছরের পর বছর চলতে থাকবে? প্রতি বছর নতুন একটি করে টিকা?ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
হালের সমীক্ষা কোভিডের রোগ প্রতিরোধ শক্তি সম্পর্কে বুস্টার ডোজের ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করেছে। সম্প্রতি আমেরিকার University of Pennsylvania-র গবেষকরা বুস্টারের কার্যকারিতা কত দিন শরীরে থাকতে পারে, তা খুঁঠিয়ে দেখেছেন?
কী দেখা গিয়েছে পরীক্ষায়?
গবেষকরা জানিয়েছেন, একটি বুস্টার ডোজ, অর্থাৎ তৃতীয় টিকা নেওয়ার পরেই কোভিডের বিরুদ্ধে যে রোগ প্রতিরোধ শক্তি পাওয়া যাচ্ছে, তা দীর্ঘ দিন স্থায়ী হচ্ছে শরীরে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে আর বুস্টার ডোজের দরকার হবে না।
কিন্তু এর মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, করোনার নতুন রূপ অর্থাৎ ওমিক্রনের মতো রূপ তো টিকার রোগ প্রতিরোধ শক্তি ভেদ করতে পারছে। সেক্ষেত্রে কী হবে? তারও উত্তর দিয়েছেন University of Pennsylvania-র গবেষকরা। তাঁদের মতে, কোভিডের নতুন রূপ টিকা থেকে পাওয়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি ভেদ করতে পারলেও আসলে বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন বড় একটা হচ্ছে না।
তাই গবেষকদের আন্দাজ যাঁরা বুস্টার পেয়ে গিয়েছেন, তাঁদের খুব জলদি আর কোনও টিকার দরকার হবে না। তাঁরা আপাতত অন্যদের তুলনায় কিছুটা নিরাপদ।