আনিস ও রাজ্য রাজনীতির দেউলিয়াপনা

পশ্চিমবঙ্গের তো অবশ্যই‚ ভারতের রাজনীতির একটা বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সংখ্যালঘু তোষণ। অবশ্য সংখ্যালঘু বলা ভুল‚ এই ক্ষেত্রে বলা উচিত দ্বিতীয় সংখ্যাগুরু। আর সেই দ্বিতীয় সংখ্যাগুরু চোর‚ডাকাত‚ ধর্ষক‚ ক্রিমিনাল‚ জঙ্গী‚ দেশদ্রোহী – যাই হোক না কেন। আর যদি সেই দ্বিতীয় সংখ্যাগুরুর কারো কোনরকম ক্ষতি হয়‚ তা সে ক্ষতির যেভাবেই হোক না কেন‚ এদেশের সেক্যুলার রাজনীতিবিদরা ঝাঁপিয়ে পড়েন সেই ক্ষতি হিন্দুদের দ্বারা করা হয়েছে এবং সেই ক্ষতিগ্রস্ত দ্বিতীয় সংখ্যাগুরুকে মহান এবং নিস্পাপ-সরল সাদাসিধে একটি ব্যক্তিরূপে তুলে ধরার জন্য। কারন এতেই তাদের রাজনৈতিক সুবিধা। এতেই তাদের রুটিরুজি।

এই যে খুব সম্প্রতি আনিস নামে একটি ছেলে খুন হয়েছে। বলা হচ্ছে যে পুলিশ কিংবা পুলিশের পোশাক পরে কয়েকজন তার বাড়িতে গিয়ে তাকে খুন করেছে। যদিও পুলিশ তাকে খুন করেছে এই অভিযোগ আমি ব্যক্তিগতভাবে একদমই ফালতু বলে মনে করি। পুলিশ এই কাজ করেছে এই কথা অন্তত এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করবে না। যে পুলিশ দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ অধ্যুষিত অঞ্চলে হেলমেট ছাড়া বাইক ধরতেই ভয় পায়‚ তারা করবে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ অধ্যুষিত এলাকায় ঢুকে একজনকে খুন? শুনলে ঘোড়াতেও হাসবে!

কিন্তু সে যাই হোক ছেলেটাকে যারাই মারুক‚ যে কারণেই মারুক তা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। তার তদন্ত হওয়ার আগেই এই দেশের সেকুলাররা বিশেষত বামপন্থীরা চিরকালের মতোই ছেলেটাকে একজন মহান মনীষী হিসেবে তুলে ধরে‚ একইসাথে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং ভারত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে সাধারণ মানুষকে উসকাচ্ছে! ভারত রাষ্ট্র নিজের নাগরিকদের হত্যা করেছে বলে নৈরাজ্যের উস্কানি দিচ্ছে।

কিন্তু আসলেই কি ছেলেটা এতটা অ্যাটেনশন পাওয়ার যোগ্য? ছেলেটার ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা গেছে সে জাকির নায়েকের গুণমুগ্ধ! প্রসঙ্গত ভারত সরকারের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা এই জাকির নায়েক বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ফেরার হয়ে আছে।

এই ছেলেটি ISF এরও সদস্য ছিল। উগ্র ধর্মান্ধ এই ছেলেটি পৃথিবীর সমস্ত সংবিধান নির্মূল করে শুধুমাত্র ইসলামের নিয়ম লাগু করার স্বপ্ন দেখত।

এমনকি তার বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ পর্যন্ত ছিল। পস্কো আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল।

এছাড়াও খুনে নকশালদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলো এই ছেলেটা।

মেয়েদের বোরখার ভেতর ভরে রাখার মধ্যযুগীয় অত্যাচারের সমর্থক ছিল আনিস।

৫ নং ছবি

এই রকম একটি দেশদ্রোহী- ধর্ষককে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ধান্দাবাজীর কারণে মহাপুরুষ বানাচ্ছে আমাদেরই আশেপাশে থাকা মুখোশধারী কিছু লোকজন। কোনোদিন কোন অমুসলিম মারা গেলে তাতে কিচ্ছু যায় আসে না‚ কিন্তু একটা জঙ্গি মারা গেলে তারা দুঃখে কাতর হয়ে পরে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে তারা প্রতি মুহূর্তে ভারতের এবং হিন্দুদের বিরোধিতা করে চলেছে।

ভারত বিরোধীদের সমর্থন করছে‚ তাদের মহান বানাচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক সুবিধার জন্য। এই নোংরা লোকগুলো একটা শিশু নির্যাতককে পর্যন্ত
মহান শহীদ বানাচ্ছে। এইসব আনিস খানদের পাশাপাশি আনিসদের এইসব সিম্প্যাথাইজারদের থেকেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই আমি বা আপনি কিন্তু এদের হাতে যেকোনো সময় আক্রান্ত হয়ে যেতে পারি!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.