‘কারও ক্ষতি করতে আমি চাই না’, BCCI নাম জানতে চাইলেও, বলতে রাজি নন ঋদ্ধি

কোন সাংবাদিক তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি দিয়েছে, সেই নাম জানাতে রাজি নন ঋদ্ধিমান সাহা। বিসিসিআই তাঁর কাছে নাম জানতে চাইলেও, সেই নাম তিনি জানাবেন না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ঋদ্ধির মতে, ‘কারও ক্ষতি করতে আমি চাই না।

ঋদ্ধিমান সাহাকে সাংবাদিকের হুমকি নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে বিতর্কের ঝড় বয়ে চলেছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, প্রজ্ঞান ওঝার মতো তারকা ক্রিকেটাররা। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীও এই নিয়ে সরব হন। এর পর নড়েচড়ে বসে বিসিসিআই -ও। সোমবারই বিসিসিআই-এর কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল পিটিআইকে বলেছিলেন যে, বোর্ড ঋদ্ধিমানের কাছে সাংবাদিকের নাম এবং পরিচয় জানতে চাইবে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

ধুমাল বলেছিলেন, ‘আমরা ঋদ্ধিমানকে তার টুইট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করব এবং আসল ঘটনাটি কী ঘটেছে, জানতে চাইব। তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল কিনা এবং তার টুইটের প্রেক্ষাপট ও প্রসঙ্গও আমাদের জানতে হবে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না। সচিব (জয় শাহ) অবশ্যই ঋদ্ধিমানের সঙ্গে কথা বলবেন।’

এর প্রেক্ষিতে ঋদ্ধিমান দাবি করেছেন, ‘আমার সঙ্গে বিসিসিআই এখনও কোনও রকম যোগাযোগ করেনি। যদি বোর্ড আমাকে (সাংবাদিকের) নাম প্রকাশ করতে বলে, আমি ওদের বলব, কারও কেরিয়ারের ক্ষতি করা বা এক জনকে নীচে নামানো আমার উদ্দেশ্য ছিল না। তাই আমি আমার টুইটে নাম প্রকাশ করিনি। এটা আমার বাবা-মায়ের শিক্ষা নয়। আমার টুইটটি করার মূল উদ্দেশ্য ছিল, মিডিয়ারই একজন এ সব করছে, একজন প্লেয়ারের ইচ্ছেকে অসম্মান করছে, সেটাই প্রকাশ্যে আনা।’

এর সঙ্গেই ঋদ্ধি যোগ করেছেন, ‘যেটা আমার সঙ্গে করা হয়েছে, সেটা একেবারেই ঠিক ছিল না। আর সেটাই আমি আমার টুইটের মাধ্যমে বলতে চেয়েছিলাম। যে এটা করেছে সে নিজে ভালো করেই জানে। আমি সেই টুইটগুলি পোস্ট করেছি, তার কারণ আমি চাই না যে খেলোয়াড়রা এ রকম ঘটনার মুখোমুখি হোক। আমি এই বার্তাটিই দিতে চেয়েছিলাম, এটা যে করেছে, সে ভুল করেছে। এবং এ রকমটা অন্য কারও করা উচিত নয়।’

শনিবার রাতে এক সাংবাদিক ঋদ্ধিকে রীতিমতো অসম্মানিত করে কিছু মেসেজ পাঠান। সেই মেসেজে সাংবাদিক লিখেছিলেন, ‘আমার সঙ্গে একটা ইন্টারভিউ করো। (তোমার জন্য) ভালো হবে।’ এক মিনিট পরেই আরও একটি মেসেজ এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘ওরা (বোর্ড) একজন উইকেটকিপার বেছে নিয়েছে, যে সেরা উইকেটকিপার। তুমি ১১ জন সাংবাদিককে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছ, যাঁরা আমার কাছে সেরা নয়। এমন কাউকে বেছে নাও, যে তোমায় সব থেকে বেশি সাহায্য করতে পারবে।’

তবে সেখানেই শেষ হয়নি ‘হুমকি’। এর পর ওই সাংবাদিক ফোনও করেন ঋদ্ধিমানকে। কিন্তু তা ধরেননি তিনি। এর পরই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওই সাংবাদিক ঋদ্ধিমানকে লেখেন, ‘তুমি ফোন করলে না। আমি কখনও তোমার ইন্টারভিউ নেব না। আমি একেবারেই অপমান মেনে নিই না এবং এটা আমি মনে রাখব। এটা তোমার করা উচিত হয়নি।’

সেই ‘হুমকির’ স্ক্রিনশট পোস্ট করলেও কোনও সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করেননি ঋদ্ধি। টুইটারে সেই হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করে ঋদ্ধি লিখেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি আমার যাবতীয় অবদানের পর তথাকথিত শ্রদ্ধেয় সাংবাদিকের থেকে এ রকম বিষয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই পর্যায় নেমে গিয়েছে সাংবাদিকতা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.