কোভিডের পর থেকে রাজ্যের বেসরকারি বাসগুলোতে দুই থেকে তিনগুণ হারে ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে। অথচ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও রকমের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। তারপরেও নিজেদের ইচ্ছেমতো যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিচ্ছেন বেসরকারি বাস মালিকরা। এর ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। এই অভিযোগ তুলে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন এক আইনজীবী। সেই মামলার ভিত্তিতে রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। তালিকা মেনে আদৌও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কিনা তা রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে রাজ্যের পরিবহন সচিবের কি ক্ষমতা রয়েছে? তাও জানাতে বলেছে হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী প্রত্যুষ পাটোয়ারী। তাঁর অভিযোগ ছিল, বেসরকারি বাসগুলির ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম মানা হচ্ছে না। বর্তমানে ভাড়ার কোনও তালিকা না থাকায় যাত্রীদের হয়রানি হতে হচ্ছে। এনিয়ে রাজ্যের পরিবহন দফতর কি ভাবছে? তা যাতে জানানো হয় সে বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী।
রাজ্যের পক্ষ থেকে এই মামলাটি খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। রাজ্যের দাবি, কোনও বাসের ভাড়া, সময়সূচি বা রুট সবই ঠিক করে থাকে আরটিও। এক্ষেত্রে পরিবহন দফতর হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এই যুক্তিতে মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে দেওয়ার দাবি জানালেও হাইকোর্ট তা মানতে রাজি হয়নি। তারপরেই আদালত পরিবহণ সচিবের ক্ষমতা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি ভাড়ার তালিকা সংক্রান্ত তথ্য আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি বাস মালিকদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বাস বন্ধ ছিল। তার উপর ডিজেলের মূল্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়া তাদের পক্ষে রাস্তায় নামানো সম্ভব নয়। এ নিয়ে দফায় দফায় তারা রাজ্য সরকার এমনকি কেন্দ্র সরকারের কাছেও আবেদন জানিয়েছে। তারপরেও ভাড়া বাড়ানো হয়নি বলে অভিযোগ বেসরকারি বাস মালিকদের।